পুজোর থিম সারমেয়, কেদারনাথে কুকুরের বিতর্ক নিয়ে মন্ডপ তৈরি হচ্ছে কলকাতায়
পুজোর থিম সারমেয়, কেদারনাথে কুকুরের বিতর্ক নিয়ে মন্ডপ তৈরি হচ্ছে কলকাতায়,
নয়ডা দম্পতি, রোহন এবং হিমশি ত্যাগী, তাদের পোষা কুকুর নবাবকে সঙ্গে নিয়ে ৭ মে কেদারনাথ মন্দিরে আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু তারা খুব জানতেন যা এই কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে কেদারনাথ যাত্রা তাঁদের সমস্যায় ফেলবে। এবার সেই বিষয়কে সামনে রেখে কলকাতায় তৈরি হচ্ছে পুজো মণ্ডপ। কেন সারমেয়রা পুজো মণ্ডপে আসতে পারবেন না এই নিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ।
সমস্যা কোথায় ?
স্বামী বিবেকানন্দ বলছেন জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর । পাণ্ডবদের শেষ যাত্রায় স্বর্গ পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গী ছিল কুকুর। আর সেই সারমেয় পূজার স্থানে আশেপাশে থাকলেই সমস্যা কেন হবে? এই বিষয় নিয়ে দেশে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ।
পুজোর মুখ নিয়ে বিতর্ক
আসলে পুজোর মুখ নিয়ে বিতর্ক। এই সময়ে সম্পূর্ণ যুগান্তকারী একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধান সরণি অ্যাটলাস ক্লাব। তাঁদের পুজোর মুখ কুকুর। লোক দেখানো ব্যাপার নয়। পুজোর থিমটাই তাঁদের সারমেয় সম্পর্কিত। ভালবাসা থেকেই এই থিম শিল্পী সায়ক রাজের।
কী বলছেন শিল্পী ?
তিনি বলেছেন যে, 'কেদারনাথে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল তা নিয়েই তৈরি করছি আমাদের মণ্ডপ। আমাদের মণ্ডপে থাকবে হেল্প সেন্টার। সেখানে কুকুর নিয়ে কিছু প্রাণী নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে জানাতে পারবেন। তাছাড়া কারও কোনও পোষা পশু হারিয়ে গেলে সেটাও ওই হেল্প সেন্টারে এসে জানানো যাবে"।
কী নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল কেদারনাথে ?
কেদারনাথের সেই ঘটনায় দম্পতির পোস্ট করা একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় গিয়ে যায় সেখান দেখা যায় যেখানে যে কুকুর, নবাবকে প্রণাম করতে এবং 'নন্দী' মূর্তি স্পর্শ করতে এবং পুরোহিতদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চাইতে দেখা যায়। এটি শীঘ্রই ইন্টারনেটে আলোড়ন সৃষ্টি করে, এবং বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটি এই কাজটিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে নিন্দা করে এবং পুলিশকে এই ধরনের 'অবাঞ্ছিত' কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে এবং তদন্ত চলছে। এদিকে, দম্পতি আইনি সহায়তা চেয়েছেন এবং পরিস্থিতি দক্ষিণে গেলে একজন আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। আপাতত, দম্পতি কোনও আইনি ঝামেলায় পড়েননি, তবে তারা প্রস্তুত থাকতে চান।
রোহান এবং হিমশি গত চার বছরে বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেছেন এবং কখনও কোনো সমস্যার সম্মুখীন হননি। প্রকৃতপক্ষে তারা বলেছিল যে, নবাব কেদারনাথেও ভালবাসা এবং স্নেহ ছাড়া আর কিছুই পাননি। শুধুমাত্র যখন তাদের পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল, তখনই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল এবং তারা হতবাক ও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তারা অনলাইনে হুমকিও পেতে শুরু করে। এই দম্পতি একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া পেজ চালান যেখানে নবাবের ভিডিও এবং ছবি রয়েছে এবং তাদের এক লক্ষেরও এরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে।