সতর্ক হোন চালকরা, গতির সীমা ভাঙলে কারাবাস - কড়া হল কলকাতা পুলিশ
লাগামহীন গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবার চার্জশিট দাখিল করা ও গতির সীমা লঙ্ঘনকারীদের সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য কারাবাসে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নানাভাবে চেষ্টা চালিয়েও কিছুতেই অনিয়ন্ত্রিত গতিতে লাগাম লাগানো যাচ্ছে না। গত রবি ও সোমবার শহরে ঘটা দুটি গুরুতর দুর্ঘটনাই তার প্রমাণ। এবার কলকাতা পুলিশ গতির সীমা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সব এফআইআর-গুলির সাপেক্ষে চার্জশিট দাখিলের এবং সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাবাসের দণ্ডের আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত জুন মাস থেকেই লালবাজার, গতির সীমা লঙ্ঘনকারী ও বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালানোর অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এইআইআর দায়ের করা শুরু করেছে। কিন্তু এখনও অবধি কোনও চার্জশিট দাখিল করা হয়নি।
গত রবিবার একটি মেয়ো রোড ও ডাফরিন রোডের সংযোগস্থলে একটি গাড়ি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ওই গাড়ির চালকের মৃত্য়ু হয় ও আরও ৪ ছাত্র আহত হন। সোমবারের ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তি নিহত ও বহু লোক আহত হন। এই দুই দুর্ঘটনার পর পুলিশ আর দৈর্য ধরতে চাইছে না।
তারা মনে করছে কারাবাসের মতো সাজা বলে বা অন্তত এই পরিমাণ শাস্তির সম্ভাবনা থাকলে হয়ত লাগামহীন গতির চালকরাশুধরোবেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ ধারায় ও মোটর ভেহিকেলস আইনের ১৮৪ ধারায় মামলাগুলি দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে লালবাজার। এতে অপরাধী চালকদের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
পুলিশ জানিয়েছে ইতিমধ্যেই বারবার গতির সীমা লঙ্ঘন করার অপরাধে শহরের ৪৫ জন চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের লাইসেন্সও ক্যানসেল করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৯৭ জনের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে দুর্ঘটনা ঘটানোর জন্য।
[আরও পড়ুন:দিল্লির এইমস হাসপাতালে জাল চিকিৎসক গ্রেফতার]
২০১৭ সাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোট ৪০ টি গতি মাপার যন্ত্র বসানো হয়েছে। এরপরও আরও ১০০টি এরকম যন্ত্র বসানোর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের দাবি, স্পিডগানে মেপে গতি লঙ্ঘন করলে অপরাধীকে চালান পাটানো হলেও অধিকাংশ তাকে পাত্তা দেন না। ফাইন দেওয়া তো দূরের কথা চালানগুলি খুলেও দেখেন না।
[আরও পড়ুন:কেরলের জন্য এই ৮ বছরের শিশু দান করেছে তার পিগি ব্যাঙ্ক, পূরণ হল তার সাইকেলের স্বপ্নও]
এই কারণেই এই ব্যাপারে আরও কড়া হতে চাইছে পুলিশ। সারা বছরের রেকর্ড ঘেঁটে দেখা গিয়েছে অনেকে বছরে ২০ বারেরও বেশিবার গতির সীমা ভেঙেছেন। তবে ১২ থেকে ১৮ বার গতির সীমা ভেঙেছেন,, এরকম চালকই বেশি। এবার সচেতনতা বাড়াতে, শাস্তির পরিমাণ বাড়ানোর পথে হাঁটল কলকাতা পুলিশ।
[আরও পড়ুন:রহস্য মৃত্যু সোদপুরের ইঞ্জিনিয়ারের! এক বন্ধু-সহ আটক তিন]