বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি স্কুলে ৩১ জুলাই পর্যন্ত জমে থাকা বকেয়া ফি এর ৮০ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সমস্তটা ১৫ আগস্টের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে মঙ্গলবার নির্দেশ হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ আগস্ট।
পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলোকে ডিভিশন বেঞ্চের আরও নির্দেশ, বকেয়া ফি না দিতে পারলে অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বাদ দিতে পারবে না স্কুলগুলো। সে বিষয়ও স্কুলগুলোকে খেয়াল রাখতে হবে।
অনলাইন
মামলার
শুনানিতে
মামলাকারীর
আইনজীবী
প্রিয়াঙ্কা
আগরওয়াল
জানান,
লকডাউনের
কারণে
রাজ্যের
সবকটি
স্কুল
বন্ধ
রয়েছে।
তার
সত্ত্বেও
স্কুলের
ছাত্র-ছাত্রীদের
অভিভাবকদের
কাছ
থেকে
ক্লাসের
ফি,
শিক্ষকদের
বেতন
সহ
অন্যান্য
খরচ
খরচা
বাবদ
অতিরিক্ত
ফি
ধার্য
করা
হচ্ছে।
এই
পরিস্থিতিতে
দাঁড়িয়ে
অভিভাবকদের
পক্ষে
তা
দেওয়া
দুর্বিষহ
হয়ে
উঠেছে।
তাই
ফি
মুকুবের
আবেদন
জানিয়ে
কলকাতা
হাইকোর্টে
জনস্বার্থ
মামলা
করা
হয়।
এদিন
রাজ্যের
পক্ষে
উপস্থিত
ছিলেন
অ্যাডভোকেট
জেনারেল
কিশোর
দত্ত।
তিনি
জানান,
রাজ্যের
স্কুলগুলোর
কাছে
ফি
মুকুব
সংক্রান্ত
বিষয়
ছাড়
দেওয়া
যায়
কিনা
তা
জানতে
চাওয়া
হয়েছিল।
এবং
স্কুলের
কর্মচারী
এবং
শিক্ষকদের
বেতন
যাতে
বন্ধ
না
করা
হয়
তাও
জানানো
হয়েছিল।
তার
পরিপ্রেক্ষিতে
স্কুল
কর্তৃপক্ষ
জানায়
ছাত্র-ছাত্রীদের
ফি
এর
কিছু
অংশ
ছাড়
দেওয়া
হয়েছে
এবং
স্কুলের
স্থায়ী
ও
অস্থায়ী
কর্মীদের
বেতনও
দিচ্ছে
স্কুলগুলো।
এদিন
বেসরকারি
স্কুলগুলোর
তরফে
আদালতে
জানান
হয়,
ইতিমধ্যেই
২৫
থেকে
৩৫
শতাংশ
বাদ
দিয়ে
স্কুল
কর্তৃপক্ষ
ফি
বরাদ্দ
করেছে।
যেখানে
তাদের
বিদ্যুৎ,
গাড়ি
ভাড়া
থেকে
শুরু
করে
অন্যান্য
খরচ
বাদ
দেওয়া
হয়েছে।
কিন্তু
যেহেতু
অনলাইনে
ক্লাস
হচ্ছে
তাই
পুরোপুরি
ফি
মুকুব
করে
স্কুল
চালাতে
পারে
না
কর্তৃপক্ষ।
উভয়
পক্ষের
বক্তব্য
শুনে
ডিভিশন
বেঞ্চ
এই
নির্দেশ
ছাড়াও
মামলাকারী
এবং
বিভিন্ন
বোর্ড
বা
কাউন্সিলের
অধীনে
থাকা
রাজ্যের
১১২
টি
বেসরকারি
স্কুলের
বর্তমান
পরিস্থিতি
নিয়ে
হলফনামা
আকারে
বিস্তারিত
রিপোর্ট
জমা
দেওয়ার
নির্দেশ
দিয়েছে।
এবং
বেসরকারি
স্কুলের
ক্ষেত্রে
রাজ্যের
ভূমিকা
কি,
হলফনামা
দিয়ে
তা
রাজ্যকেও
জানাতে
হবে।