প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাজে খুশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, ভর্ৎসনা কেন বদলে গেল প্রশংসায়
হঠাৎই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সম্প্রতি শুনছি ভালো কাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বদলাচ্ছে, তবে বদলাতে একটু সময় লাগবে।
হঠাৎই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সম্প্রতি শুনছি ভালো কাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বদলাচ্ছে, তবে বদলাতে একটু সময় লাগবে। আমার বিশ্বাস একদিন ঠিকই সুনাম অর্জন করবে প্রাথমিক পর্ষদ।
জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জট কাটতে সময় দিতে হবে। এখন পর্ষদ সভাপতি ও সম্পাদক ভালো কাজ করছেন। আমি শুনেছি, অনেকেই এ কথা আমাকে জানিয়েছেন। তা জেনে ভালোও লাগছে। পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনেও তিনি আপ্লুত হন এবং প্রশংসা করেন।
এদিন আদালতে পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দোপাধ্যায়ের জানান, ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্ষদে একজন ল' অফিসার নিয়োগ হতে চলেছে। পর্ষদে ইতিমধ্যে ১০ হাজারের বেশি আবেদন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জমা পড়েছে। ল' অফিসার নিয়োগ সম্পন্ন হলে আবেদনগুলি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেবে পর্ষদ। তিনি বলেন, প্রতিদিন বহু অভিযোগ নিয়ে মানুষ আসছে। প্রত্যেকের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শোনা হচ্ছে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তা শুনে বলেন ভালো হলেই ভালো। আমিও আশা করছি এখন যারা এসেছেন তারা ভালো কাজ করবেন। পর্ষদের সুনাম বৃদ্ধি করবেন। এতদিন যে কালিমা লেপন হয়েছে খুব শীঘ্রই তা মুছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ফের সুনামের সঙ্গে চলতে শুরু করবে। আমি এবং আমরা সেই সুদিনের অপেক্ষাতেই আছি।
এদিন টেট দুর্নীতি-কাণ্ডে এই প্রশংসাসূচক বাক্যের আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে একহাত নিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার এক মামলায় তিনি বোর্ডকে নিশানা করে বলেন, বোর্ডের ভুল, বোর্ডকেই খেসারত দিতে হবে। প্রাথমিক পর্ষদকে এখন লোকে দুর্নীতি আর বেআইনি কাজের আখড়া বলে মনে করে। কিন্তু আমি চাই এই সংস্থা আবার সুনামের সঙ্গে কাজ করুক।
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় টেটের ছয় নম্বর প্রশ্ন ভুল মামলায় বয়স পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নতুন করে ইন্টারভিউ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারভিউ নিতে হবে। সেই ইন্টারভিউয়ে বোর্ড প্রাপ্ত নম্বর দেবে, তারপর ইন্টারভিউয়ে উত্তীর্ণ হলে চাকরি দিতে হবে বোর্ডকেই। এবং বিচারপতির নির্দেশ, তাঁকে ট্রেন্ড ক্যান্ডিডেট হিসেবে ধরা হবে। এবং এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
রাহুল ক্যারিশ্মা কাজ করতে শুরু করেছে, বিজেপিকে ভারত জোড়ো যাত্রার চ্যালেঞ্জ শত্রুঘ্নের