প্রাথমিক মামলায় আরও ১১২ জনকে চাকরির নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
সোমবার, মঙ্গলবারের পর আজ বুধবার আরও ১১২ জনকে চাকরির নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে'র। গত সোমবার এমন ২৩ জনকে ২৩ দিনের মধ্যে চাকরিতে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি গতকাল মঙ্গলবারও ৫৪ জনকে নিয়োগে
সোমবার, মঙ্গলবারের পর আজ বুধবার আরও ১১২ জনকে চাকরির নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে'র। গত সোমবার এমন ২৩ জনকে ২৩ দিনের মধ্যে চাকরিতে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি গতকাল মঙ্গলবারও ৫৪ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার চারটি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে'র সিঙ্গল বেঞ্চে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত ১১২ জনকে অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ১১২ জনকে চাকরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ পুজোর আগেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। আর এতে রীতিমত খুশি চাকরি প্রার্থীরা। তবে আগামী
২৮ সেপ্টেম্বর নিয়োগ নির্দেশ কার্যকর হলো কি না সে বিষয়ে খোঁজ নেবে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের টেটে ৬ প্রশ্ন ভুল মামলায় হাইকোর্ট নির্দেশ মেনে উত্তীর্ণ হচ্ছেন এই ১১২ জনও। আর এরপরেই এই নির্দেশ কার্যকর করা কথা বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্য শূন্যপদ জানাবে তার ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশ দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বলে রাখা প্রয়োজন, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বড় িনর্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। মঙ্গলবারই ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৭৭ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ে। এমনকি সোমবারও এই মামলাতে ২৩ জনকে ২৩ দিনের মধ্যে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর আজ ফের ১১২ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ।
অর্থাৎ গত তিনদিনে মোট ২১২ জনকে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, একের পর এক নিয়োগ দুর্ণীতি মামলায় রীতিমত চাপে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এসএসসি নিয়োগ দুর্ণীিত মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইয়ের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করছে ইডি। আর তাতেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। তারপরই পরতে পরতে ধরা দুর্নীতি। টিএমসি নেতাদের বিপুল সম্পত্তির হদিশে চমকে উঠেছে রাজ্যবাসী। পার্থ ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর বিপুল টাকার হদিশ প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে রাজ্য সরকারকে।
অন্যদিকে সিবিআইয়ের হাতেও একাধিক মিডলম্যানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেগফতার করা হয়েছে পর্ষদের একাধিক প্রভাবশালীকেও। সেখানে দাঁড়িয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একের পর এক চাকরির নির্দেশে হাসি ফুটছে চাকরি প্রার্থীদের মুখে।