জেসপ অগ্নিকাণ্ড: সিআইডি তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, ঘটনাস্থলে উদ্ধার মোবিলের ড্রাম
জেসপ আগুন কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে দু'বার আগুন লাগার ঘটনায় পরিদর্শনে গিয়ে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ করেছিলেন স্বয়ং দমকলমন্ত্রী।
কলকাতা, ১৮ অক্টোবর : জেসপে রহস্য-আগুন কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে দু'বার আগুন লাগার ঘটনায় পরিদর্শনে গিয়ে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ করেছিলেন স্বয়ং দমকলমন্ত্রী। তিনি এফআইআরও করেছিলেন। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এসএস সাউথের নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবারই তদন্তে যাচ্ছে এই বিশেষ দল।
সোমবার সেই ২৮ নম্বর গেটের কাছেই ফের আগুন লাগে। ১৫টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রয়ে যায় অনেক রহস্য। কেন বারবার বন্ধ কারখানায় আগুন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে পড়ে। এদিনও আবার ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থেল গিয়ে আগুন নেভায়। এদিকে শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হচ্ছে। আসলে এর পিছনে রয়েছে প্রোমোটিংয়ের থাবা।
এদিন তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়ে তেলের দাগ চিহ্নিত করেছেন। উদ্ধার হয়েছে ড্রামভর্তি মোবিল। কারখানার ভিতরেই এই মোবিল ও তেলের দাগ মেলায় সন্দেহ আরও দানা বেঁধেছে। এছাড়া এমন কিছু প্রমাণ মিলেছে যে, তাতে কারখানার ভিতরে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ স্পষ্ট। এই যে অভিযোগ উঠত, জেসপ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে বহু মূল্যবান যন্ত্রপাতি, তা অমূলক নয়। বহু যন্ত্রাংশ কেটে কেটে পাচার করার ছাপ স্পষ্ট রয়েছে কারখানার ভিতরে।
এদিকে কারখানার মালিকানা নিয়েও উঠে এসেছে প্রশ্ন। এখন এই কারখানার মালিকানা কার, তা নিয়ে যথেষ্ট ধন্দ তৈরি হয়েছে। রাজ্য বিল এনে এই কারখানা অধিগ্রহণ করে। সেই বিল এখনও পড়ে রয়েছে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। কিন্তু এদিকে জেসপের মালিক পবন রুইয়ার ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। শ্রমিক অসন্তোষে তিনি কারখানায় ঢুকতে বাধা পাচ্ছেন। পরোক্ষে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ও লুঠতরাজ চলেই যাচ্ছে কারখানায়।