কৃষিকে মেরে আর শিল্প নয়, বন্ধ কারখানার জমিতে হবে শিল্পায়ন, বললেন মমতা
রাজ্যের উন্নয়নে শিল্প চাই। তবে তা কখনই কৃষিকে মেরে নয়। বন্ধ কারখানার জমিতেই হবে শিল্প। রাজ্যে শিল্পের প্রসারে বন্ধ কলকারখানার জমিকেই বেছে নিল মমতার সরকার।
কলকাতা, ১১ মার্চ : রাজ্যের উন্নয়নে শিল্প চাই। তবে তা কখনই কৃষিকে মেরে নয়। বন্ধ কারখানার জমিতেই হবে শিল্প। রাজ্যে শিল্পের প্রসারে বন্ধ কলকারখানার জমিকেই বেছে নিল মমতার সরকার। এই সংক্রান্ত বিলও ইতিমধ্যে পাস করিয়ে নেওয়া হয়েছে বিধানসভায়। ফলে বন্ধ শিল্প-কারখানার জমি অধিগ্রহণে এখন আর কোনও বাধাই রইল না।[গণতন্ত্রে একে অপরকে সম্মান করতে হয়, পরাজিতরা ভেঙে পড়বেন না, টুইট-বার্তা মমতার]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আর কোনওভাবেই শিল্পের জন্য কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। তৃণমূলের আমলে কোনও জমি জোর করে অধিগ্রহণ করা হয়নি। মমতা বলেন, আমরা দেখেছি, সিঙ্গুরে বহু ফসলি জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে বিগত বাম সরকার কী করেছে। আমাদের সরকার কখনও সেই পথে হাঁটবে না।
রাজ্যে বহু রুগ্ণ ও বন্ধ কারখানা পড়ে রয়েছে। সেইসব জমি শিল্পের প্রসারে ব্যবহার করা যেতেই পারে। আমরা সেই জমিই ব্যবহার করতে চাইছি। সেই জন্যই ওয়েস্টবেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস বিল সংশোধন আনা হয়েছে। এবার থেকে শিল্পের প্রসারে বন্ধ কারখানার জমিকেই ব্যবহার করা হবে।
তবে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের। বন্ধ কারখানার জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েই বিরোধীদের বক্তব্য, ভাঙড়ে জমি নিতে গিয়ে হাত পুড়েছে বলেই বন্ধ কারখানার জমিতে শিল্পস্থাপনে আগ্রহী সরকার।
এই আইনের ফলে রাজ্যে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বাড়বে বলেই মনে করছে বিরোধীরা। প্রোমোটিংয়ের সুযোগ আরও বেড়ে যাবে। তাই শুধু ল্যান্ড রিফর্ম আইন সংশোধন করলেই হবে না। দেখতে হবে এই জমি যেন শুধু শিল্পস্থাপনের কাজেই লাগে।