হোয়াটস অ্যাপে মনোনয়ন! নয়া দিশা দিল হাইকোর্ট, আশায় বুক বাঁধছে বিরোধীরা
ফের পঞ্চায়েত মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্টে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে আবারও যুধুধান দুই শিবির। শাসক বনাম বিরোধী-জোট।
ফের পঞ্চায়েত মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্টে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের এজলাসে যখন শাসক বনাম বিরোধী-জোট জমজমাট সওয়াল চলছে, তার আগেই ভাঙড়ের আন্দোলনকারীরা পঞ্চায়েত প্রার্থীরা আইনি লড়াইয়ে সাফল্য পেয়ে গেলেন। হাইকোর্টে নির্দেশ দিল, ভাঙড়ের জমি আন্দোলনকারীদের মনোনয়ন বাতিল করা যাবে না। যদি ওই প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়, তবে ওই এলাকায় ভোট স্থগিত করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয় আদালত। এই সংক্রান্ত মামলা ফের ৩০ এপ্রিল শুনবে বলে জানায় হাইকোর্ট।
[আরও পড়ুন:হাইকোর্টে যুযুধান শাসক-বিরোধী, মনোনয়নে অশান্তির বাণ ঠেকাতে ঢাল দিলীপের হুমকি]
ভাঙড়ের জমি ও বাস্ততন্ত্র রক্ষা কমিটির ৯ সদস্য হাইকোর্টে নির্দেশে অতিরিক্ত দিনে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত বিডিও অফিসে বসিয়ে রাখা হয়। তিনটের পর এসে বলা সময় হয়ে গিয়েছে আর মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া যাবে না। তার আগেই প্রার্থীরা বিডিও-র হোয়াটস্ অ্যাপ নম্বরে মনোনয়নপত্র পাঠিয়ে দেন। তাঁরা আবেদন করেন মনোনয়ন গ্রহণ করতে।
কিন্তু হোয়াটস অ্যাপে মনোনয়ন জমা দিলেও আন্দোলনকারীরা আশঙ্কা করছেন তাঁদের মনোনয়ন স্ক্রুটনিতে বাতিল হয়ে যেতে পারে। সেই নিরিখেই তাঁরা হাইকোর্টেপ দ্বারস্থ হন এদিন। হাইকোর্টে এই মামলা শোনার পর জানিয়ে দেয় হোয়াটস অ্যাপে দাখিল করা ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা যাবে না।
সব মিলিয়ে মনোনয়ন পর্ব মিটলেও এখনও মামলার জটে আটকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ। এদিন হাইকোর্ট কী নির্দেশ জারি করে তার উপরই নির্ভর করছে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে। তারপরও যদি স্ক্রুটনিতে সমস্যা হয় ফের মামলার জটে পড়ার আশঙ্কা থাকছে কমিশনের। মোট কথা এবার পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনি জটিলতার ঘেরাটোপে বন্দি হয়ে পড়েছে।