মোদীর মামার সংস্থায় ১৫ কোটির সোনা-হিরে বাজেয়াপ্ত! ২০০ ভুয়ো সংস্থার হদিশ ইডি-র
২১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কলকাতার পাঁচ জায়গায় তল্লাশিতে ১৫ কোটি টাকারও বেশি হিরে ও সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জালিয়াতিকাণ্ডে কলকাতা-সহ দেশের ৪৫ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল সোনা-হিরের গয়না বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ২১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কলকাতার পাঁচ জায়গায় তল্লাশিতে ১৫ কোটি টাকারও বেশি হিরে ও সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়।
[আরও পড়ুন: নীরব মোদীকাণ্ডে নাম জড়াচ্ছে আম্বানি পরিবারের এক সদস্যের, সিল পিএনবি-র একটি শাখা ]
অভিযোগ, মেহুল চোকসির বিভিন্ন হিরে ও স্বর্ণ বিপণীতে হানা দিয়ে হিরে-সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ইডি জানতে পেরেছে দেশে ও বিদেশে অন্তত দুশোটি ভুয়ো সংস্থা রয়েছে মামা-ভাগ্নে মেহুল-নীরবদের। টানা চারদিন ধরে এই মামলায় মেহুল চোকসির বিপণীতে হানা দিয়ে চলেছেন ইডি আধিকারিকরা।
সল্টলেকে সিটি সেন্টার-১, নিউটাউনে সিটি সেন্টার-২, কসবা, যাদবপুরের বিপণীতে রবিবার থেকে ২১ ঘণ্টারও বেশি ধরে তল্লাশি চলছে। এই সমস্ত বিপণীগুলির মালিক মেহুল চোকসি। তাঁর বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে ভাগ্নে নীরব মোদীর সঙ্গে মিলে ১১ হাজার রোটি টাকার ব্যাঙ্কিং প্রতারণার।
উল্লেখ্য, গতকাল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে মেহুল চোকসির গীতাঞ্জলি স্বর্ণ বিপণীতে হানা দেয় ইডি। তারপর এদিন হানা দেয় কলকাতা, সল্টলেক ও নিউটাউনের বিপণীগুলিতে। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, গুজরাতেও চোকসির সংস্থায় হানা দিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধাকারিকরা। এর আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি-মুম্বইয়ের শোরুমেও হানা দেয় ইডি। সোনা ও হিরের গয়নার পাশাপাশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:নীরব মোদীর সিএফও-কে তলব! পিএনবি তদন্তে শুরুতেই ফ্রন্টফুটে সিবিআই]
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশে ও বিদেশে মেহুল চোকসি ও নীরব মোদীর প্রায় দুশোটি ভুয়ো সংস্থা রয়েছে। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা সরানো হত। ইডি তদন্তে নেমে মেহুল চোকসির ৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে, যেগুলির ওইসব ভুয়ো সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে। নীরব মোদীর পরিবারের ২৯টি জায়গায় সম্পত্তি ও ১০৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই দুজনেই দেশ ছে়ড়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। তবে তাঁরা কোথায় গিয়েছে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও হদিশ পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একাংশের মতে তাঁরা দেশেই গোপন স্থানে রয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ।
[আরও পড়ুন: ঘুরিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে উৎসাহ দিয়েছে ইউপিএ-এনডিএ সরকারই, বলছে সরকারি পরিসংখ্যানই]