কলকাতায় ভূমিকম্প, তড়িঘড়ি ছুটি ঘোষণা নবান্নে
কলকাতা, ২৪ অগাস্ট : ফের কলকাতা কেঁপে উঠল প্রবল ভূমিকম্পে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল মায়ানমার বলে জানা গিয়েছে। কম্পনের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৭। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। [৬.৮ তীব্রতার ভূমিকম্প মায়ানমারে, কেঁপে উঠল কলকাতা সহ গোটা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ]
যার জেরে কলকাতা সহ আশপাশের জেল ও উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই কমবেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন সাধারণ মানুষ। বাচ্চাদের কোলে নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন অভিভাবকেরা। [কেন এবারের ভূমিকম্প আগের কম্পনগুলির চেয়ে আলাদা, জেনে নিন]
কম্পন প্রায় ৫-৬ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছে। যা বেশি দীর্ঘ বলেই মনে করা হচ্ছে। এতক্ষণ ধরে কম্পন অনুভূত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্কুল এইসময়ে প্রায় শেষ হওয়ার পথে থাকে। সেখানেও তড়িঘড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ['গ্রেট হিমালয়ান ভূমিকম্প' আসা এখনও বাকি, বলছেন বিজ্ঞানীরা]
এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় অফিসে হুলুস্থুল পড়ে যায়। বিভিন্ন বেসরকারি অফিসের কর্মীরা অফিস ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসে বাড়িতে ফোন করে স্বজনদের খোঁজ নেন। এদিকে রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবন নবান্নেও এই ভূমিকম্পের জেরে ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। [নেপালের ভূমিকম্পের অকল্পনীয় বীভৎসতা]
এদিন কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলা হাওড়াতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। তার আঁচ পড়ে নবান্নেও। ১৭ তলা বিল্ডিং হওয়ায় তা থেকে কর্মীদের বেরনোর হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। লিফটের জন্য অনেকে অপেক্ষা না করে সরাসরি সিড়ি দিয়ে নেমে আসেন নিচে। এরপরে রাজ্যের মুখ্যসচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এদিনের মতো ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছেন। [মেরু প্রদেশের বরফে ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাটল, ত্রস্ত পরিবেশ বিজ্ঞানীরা]