মেরু প্রদেশের বরফে ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাটল, ত্রস্ত পরিবেশ বিজ্ঞানীরা
বেশ কিছু বছর ধরেই মেরুপ্রদেশের উপরে নজর কড়া নজর রাখছিলেন বিজ্ঞানীরা। আর এই অনুসন্ধান চালাতে গিয়েই চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে বিজ্ঞানীদের। বিশ্বের অন্যতম বড় বরফের চর যার পোশাকি নাম 'লারসেন সি', তাতে বিশাল আকৃতির ফাটল দেখা দিয়েছে। [বরফশূন্য হতে চলেছে উত্তর মেরু!]
ব্রিটিশ আন্টার্কটিক সার্ভে অনুযায়ী এই 'লারসেন সি' পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম বরফের চর। এটি আয়তনে স্কটল্যান্ড দেশের চেয়ে সামান্য ছোট। এটিকে ইংরেজিতে 'আইস সেলফ' বলে কারণ এটির পুরোটাই ৩৫০ মিটার পুরু বরফে আবৃত এবং তা মহাসাগরের জলের উপরে ভাসমান। [এবার জলের ফোঁটায় চলবে কম্পিউটার]
এই বরফের চরেই ২০১১-২০১৫ সালের মধ্যে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাটল আবিষ্কৃত হয়েছিল। এরপরে তা ক্রমেই দৈর্ঘ্যে বেড়ে চলেছে। প্রথমে এই ফাটলের মধ্যেকার দূরত্ব ছিল ২০০ মিটার। তবে তা এখন বাড়তে বাড়তে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। [নয়া 'কাউন্ট ডাউন' শুরু, পৃথিবীর ধ্বংস ২৮ সেপ্টেম্বর?]
বিজ্ঞানীদের যে দল এই গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন তারা বলছেন, মেরু প্রদেশে দীর্ঘ রাত্রি চলার ফলে এতদিন এই ফাটল উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েনি। তবে ফের দীর্ঘ দিনের সময় চলে আসার ফলেই এই ফাটল সকলের নজরে এসেছে। [পৃথিবীতে মোট কত ধরনের প্রজাতি রয়েছে জানেন?]
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গত মার্চের তুলনায় নতুন করে ২২ কিলোমিটার বেড়েছে ফাটলের দৈর্ঘ্য। এবং ফাটলের মাঝের দূরত্ব বেড়ে ৩৫০ মিটার হয়ে গিয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে ফাটলের মোট দৈর্ঘ্য ১৩০ কিলোমিটার। যে হারে বরফ গলতে শুরু করেছে তাতে মেরুপ্রদেশের অন্তত ৬ হাজার স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকা আলাদা হয়ে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের আকার নিতে পারে। [পৃথিবীর গভীরতম 'সিঙ্কহোল'-এর খোঁজ মিলল দক্ষিণ চিন সাগরে!]
শুধু তাই নয়, কীভাবে এই ফাটল হচ্ছে বা তা কত সময় লাগবে তা বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করতে পারছেন না। ভূমিকম্পের মতোই বরফের ফাটল নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। ফলে প্রমাদ গোনা আর পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ ছাড়া আর উপায় বিজ্ঞানীদের কাছে। যদি এই লারসেন সি বরফের চরটি পুরো গলে যায় তাহলে সমুদ্রের জলের মাত্রা আরও ৪ ইঞ্চি বেড়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন। [ভারতে প্রবল অগ্ন্যুৎপাতের কারণে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয় ডাইনোসররা!]