কাগজের মন্ড, ফেলে দেওয়া পেন, পেন্সিল দিয়ে তৈরি এই ঠাকুর
কাগজের মন্ড, ফেলে দেওয়া পেন, পেন্সিল দিয়ে তৈরি এই ঠাকুর
এক অভিনব দুর্গা বানাচ্ছেন মহিলা শিল্পী। পাপিয়া কর নির্মিত এই বিশেষ দুর্গাঠাকুরটি শোভা পাবে অশ্বিনীনগর বন্ধুমহলের পূজা মন্ডপে। গরীব শিশুদের পুজোর জামা জুতো কিনে দেওয়ার মহৎ উদ্দেশ্যে এই ঠাকুরটি বানিয়েছেন পাপিয়া কর।
অভিনব মূর্তি
কোনো কাঠামো ছাড়াই কেবল কাগজের মন্ড, ফেলে দেওয়া পেন, পেন্সিল দিয়ে তৈরি এই ঠাকুর। অশ্বিনীনগর বন্ধুমহল এই রকম বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজ করে থাকে সারা বছর ধরে।
ক্লাব
অশ্বিনীনগর
বন্ধুমহল
ক্লাবের
এটা
৪২
তম
বর্ষ।
থিমের
নাম
"ভাগাড়ের
মা"।
সৃজনে
সম্রাট
ভট্টাচার্য
।
প্রতিমা
বানাচ্ছেন
অনিল
কুমার
মোদক।
ভাস্কর্য
সুবিমল
দাসের।
আবহ
সংগীত
সৈকত
দেবের।
আলোকসজ্জা
গড়ছেন
কুনাল
পাঠক।
ওষুধের ফাঁকা খাপ দিয়ে তৈরী দূর্গা
এর আগে তিনি ওষুধের ফাঁকা খাপ দিয়ে তৈরী দূর্গা প্রতিমা গড়েছিলেন ২০২১ সালে। শিল্পী পাপিয়া কর ১০০০ ওষুধের ফাঁকা খাপ দিয়ে ৪ ফুটের দূর্গা প্রতিমা তৈরী করেছিলেন ।
পাপিয়া কর
পাপিয়া কর খবরে এসেছিলেন অন্যভাবে। ভাইয়ের বিয়েতে বেঁচে যাওয়া খাবার খাইয়েছিলেন গরীবদের। সেদিন সকল অতিথিদের খাওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর অবশিষ্ট ছিলো যথেষ্ট পরিমাণ খাবার। পাপিয়া কর সেই খাওয়ার রাত ১ টার সময় স্টেশনের মানুষগুলোর মধ্যে নিজে গিয়ে পরিবেশন করে বিলিয়ে দেন , এরকম মানসিকতা সত্যিই বিরল। এর আগেও বহুবার নিজের মানবিকতার পরিচয় দিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন তিনি , মানুষের চূড়ান্ত ভালোবাসা আর আশীর্বাদ কুড়িয়েছেন।
ওনার
এই
উদ্যোগে
স্টেশনের
গরীব
মানুষগুলোর
পেট
ভরিয়ে
ওনার
ভাই
ও
তার
সহধর্মিনী
নতুন
জীবন
শুরু
করার
আগে
যে
পরিমান
আশীর্বাদ
পান
তার
মূল্য
কোনো
অর্থ
দিয়ে
মাপা
যায়
না।
আসলে বেশিরভাগ বিয়ে বাড়িতেই প্রচুর খাওয়ার উচ্ছিষ্ট হয়ে নষ্ট হয় , আর একই সাথে বহু মানুষ না খেতে পেয়ে এই প্রচন্ড শীতে রাত কাটায়। তাদের পেট ভরানোর কাজটা করেন পাপিয়া।
ভুল চণ্ডীপাঠ, রাগে লাল হলেন দেবী দূর্গা