বনধ সমর্থন নয়, ভোগান্তি দিয়ে ভোগান্তির সুরাহা হয় না, টুইট মমতার
একটা ভোগান্তির প্রতিবাদ আর একটা ভোগান্তির কর্মসূচি দিয়ে হতে পারে না। তাই নৈতিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে এই কর্মনাশা বনধকে আমরা সমর্থ করছি না।
কলকাতা, ২৬ নভেম্বর : কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলের প্রতিবাদে সোমবার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে ১৮টি বামপন্থী দল। নোট বাতিল ইস্যুতে একযোগে বিরোধিতার জন্য বামেদের আহ্বান জানালেও এই বনধের তীব্র বিরোধিতা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী টুইট বার্তায় সাফ জানিয়ে দেন, একটা ভোগান্তির প্রতিবাদ আর একটা ভোগান্তির কর্মসূচি দিয়ে হতে পারে না। তাই নৈতিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে এই কর্মনাশা বনধকে আমরা সমর্থ করছি না।
তিনি টুইট করে জানান, দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে বনধ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে তো মতৈক্যের প্রশ্নও নেই। তার কারণ আমরা কখনও বনধকে সমর্থন করি না। আর আজকেও আমরা বনধ সমর্থন করব না। আমরা নোট বাতিলের প্রতিবাদ জানাব অন্যভাবে। তাঁর কথায়, গত ১৮দিন ধরে মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পক্ষে।
তাই এই সঙ্কট মুহূর্তে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার কাছে আর্জি জানিয়েছি। দিল্লিতে গিয়ে দরবার করেছি। সুরাহার জন্য ছুটে গিয়েছি রাষ্ট্রপতির কাছে। কিন্তু কখনও ভাবিনি বনধ ডেকে সাধারণ মানুষের দুর্ভওগ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার কথা। বামেরা মানুষের কথা ভাবেনি বলেই তাঁরা বনধ পালনের ডাক দিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বনধের বিরোধিতা করে জানিয়েছেন, ওই দিন সমস্ত সরকারি কর্মীকে কাজে যোগ দিতে হবে। অন্যথায় তাঁদের ওই দিনের বেতন কাটা যাবে। বাতিল হবে ছুটিও। এই মর্মে আজই নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। সোমবার আগের মতোই বনধ বিরোধিতায় সামিল হবে। পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে বনধ ডাকা নিয়ে কোনও আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা কোনোরকম বনধ সমর্থন করি না ১/২
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 25, 2016
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস সোমবারই বনধ ডেকে রাজ্য অচল করার ডাক দিয়েছে বামপন্থী ১৮টি দল। অপরিকল্পিতভাবে নোট বাতিলের প্রতিবাদে বামপন্থীরা হরতাল পালন করে করতে চাইছে বামেরা। ১৮টি বামপন্থী দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সোমবার সকাল ছ'টা থেকে সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়।
বামেদের দাবি, ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো নোট ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে। নতুন নোটের জোগান এখনই নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া কৃষকদের ঋণের ব্যবস্থা, সমবায়ের মাধ্যমে লেনদেন, শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি নিশ্চিত করার দাবিতেই এই হরতালের ডাক বলে জানিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।