বিধ্বংসী আগুনে দাউদাউ জ্বলছে ট্যাংরার কারখানা, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল বিস্তীর্ণ এলাকা
বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত গোটা কারখানা। দাউ দাউ করে জ্বলছে। আগুনের লেলিহান শিখা তিন কিলোমিটার দূরে শিয়ালদহ থেকেও দেখা যাচ্ছে। রবিবার বিকেলে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে আগুন লাগে।
বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত গোটা কারখানা। দাউ দাউ করে জ্বলছে। আগুনের লেলিহান শিখা তিন কিলোমিটার দূরে শিয়ালদহ থেকেও দেখা যাচ্ছে। রবিবার বিকেলে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে আগুন লাগে। তা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে গোটা কারখানায়। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে।
ট্যাংরায় এই একই জায়গায় একমাসের মধ্যে দুবার ঘটল অগ্নিকাণ্ড। কী কারণে ওই কারখানায় আগু লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের গ্যারাজে। সেখানে অনেক মোটর সাইকেল ও অন্যান্য গাড়ি মজুত ছিল। তা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দমকল চটজলদি কাজ শুরু করলেও আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে পাশের বিল্ডিংয়েও।
এমনিতে ট্যাংরা খুব সংকীর্ণ ও ঘিঞ্জি। তাই দমকলের পক্ষে কাজ করাও অসুবিধা। সেই অসুবিধা সত্ত্বেও নিরন্তর আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যান দমকল কর্মীরা। স্থানীয়রাও দমকলকর্মীদের সঙ্গে হাত লাগান। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটা ছিল যে দু-ঘণ্টা কাজ করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি দমকল। দমকলের প্রাথমিক লক্ষ্য আগুন অ্যারেস্ট করা। অর্থাৎ যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে, তা দেখা।
এই বিধ্বংসী আগুনের ফলে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মধ্যে। বালতি বের করে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বাইরে বের করে দেন। যদি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়, তা থেকে বাঁচতেই এই পন্থা অবলম্বন করেন স্থানীয়রা।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, দমকলকর্মীরা নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছেন। কী কারণে আগুন লাগল, কারখানায় কোনও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তার খোঁজ খবর নেওয়া বহবে পরে। এখন অগ্রাধিকার আগুন নেভানো। সেই কাজ শেষ হলে খতিয়ে দেখা হবে সমস্ত বিষয়টিই। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ১৩ মার্চ ট্যাংরায় আগুন লেগেছিল। ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোজডের একটি বস্তি সংলগ্ন এলাকায় এই আগুন লাগে। এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপজদে সরিয়ে নেওয়া হয়। দমকলের পাশাপাশি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্যরাও উদ্ধারকার্য হাত লাগান।
কারখানার পাশাপাশি গাড়ি মেরামতি কারখানাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তার পাশে ছিল গোডাউন। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন এভাবে ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন দমকল একটু দেরিতে আসায় আগুন বিধ্বংসী রূপ নেয়। তারপর প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুক ছিল কারখানায়। ফলে আগুন ভয়াবহ হয়ে ওঠে।