উদ্বেগ কাটল ‘দাদা’র পরিবারে! স্নেহাশিসের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কী জানালেন চিকিৎসকরা
রবিবার রাত থেকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে কাটাতে হয়েছে পুরো গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারকে। মঙ্গলবার সকালে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে বেলভিউ নার্সিংহোমের বুলেটিন প্রকাশের পর।
তবে কি উদ্বেগ কাটল! এই প্রশ্নটাই এখন সৌরভের পরিবারে ঘোরাফেরা করছে। রবিবার রাত থেকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে কাটাতে হয়েছে পুরো গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারকে। মঙ্গলবার সকালে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে বেলভিউ নার্সিংহোমের বুলেটিন প্রকাশের পর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন। তাঁর প্লেটলেট আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। আর জ্বরও আসেনি।
এদিন সকালে স্নেহাশিসের প্লেটলেট পরীক্ষা করা হয়। তারপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, স্নেহাশিসবাবুর প্লেটলেট প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। সোমবার ২০ হাজারেরও নিতে নেমে গিয়েছিল প্লেটলেট। এদিন তা বেড়ে ৩৮ হাজার হয়েছে। সোমবার রাত থেকে নতুন করে আর জ্বর আসেনি। অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছেন স্নেহাশিস। তাঁকে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
স্নেহাশিসের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছিল গত বুধবার। তারপর ওইদিনই তাঁকে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাততলার বি-স্যুটে তাঁকে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসা চলছিল ডা. সুকুমার মুখোপাধ্যায় ও ডা. অমিতাভ নন্দীর তত্ত্বাবধানে। কিন্তু রবিবার রাতে হঠাৎই তাঁর নতুন করে জ্বর আসে। প্লেটলেট নেমে যায় ২০ হাজারে।
উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারে। চিকিৎসকরাও নতুন করে লড়াই শুরু করেন। তাঁর সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তাঁকে দু-ইউনিট প্লাজমা ও চার ইউনিট প্লেটলেট দেওয়া হয়। সোমবার রাতেই দাদাগিরির শ্যুটিং বাতিল করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় চলে আসেন হাসপাতালে। স্নেহাশিসের স্ত্রী মোম গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পরিবারের অন্যান্যরা হাসপাতালেই ছিলেন। রাতভর উদ্বেগে কাটার পর সকাল থেকেই স্বস্তি সৌরভের পরিবারে।