ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’, কমবে কি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূ্ণাবর্ত ঝড় আকারে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশের উপকূলে। ফের প্রাকৃতিক দূর্যোগর নিশানায় বাংলাদেশ। এপার বাংলাকি বাঁচবে দুর্যোগের হাত থেকে?
গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ ও তাপপ্রবাহের মধ্যেই এবার ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। সেই ঘূর্ণাবর্ত ঝড় হয়ে সোমবারই আছড়ে পড়তে পারে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলে। ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'র প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, 'মোরা'র প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ব্রজবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে আগামী তিনদিন আকাশের মুখ ভার থাকার সম্ভাবনা প্রবল।[কেন প্রতিবার ঘূর্ণিঝড়ের আলাদা নাম দেওয়া হয় জানেন কি? জেনে নিন]
আবহবিদরা জানিয়েছেন, রবিবার সকাল থেকেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। বিকেলে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই ঘূর্ণাবর্তের অভিমুখ বাংলাদেশের চট্টগ্রামের দিকে। যে গতিতে বঙ্গোপসাগর দিয়ে ধেয়ে আসছে 'মোরা' তাতে এদিনই বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা বর্তমান।
ঘূর্ণাবর্তটি বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের এমন জায়গায় অবস্থান করছে, যেখান থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার পায়রা ও মোংলা বন্দর দূরত্ব প্রায় সমপরিমাণ। সেই কারণেই এই চার বন্দর এলাকায় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে সমুদ্র উপকূল থকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সমুদ্রবন্দরগুলিতে জারি হয়েছে দু'নম্বর সতর্কবার্তা।
মঙ্গলবার ভোররাতে প্রায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তার আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সমস্ত মৎস্যজীবীদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, এবার ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'র নামকরণ করেছে থাইল্যান্ড।
আলিপুর হাওয়া অফিসও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এলাকা থেকে মৎস্যজীবীদের নিরাপদ স্থানে সরে আসতে নির্দেশ দিয়েছে। আপাতত আগামী তিনদিন গ্রীষ্মের দহনজ্বালা থেকে মুক্তি মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি।