মমতার 'টার্গেটে' সেই কংগ্রেস! পঞ্চায়েতের আগে বিধানসভায় ফের শক্তি বাড়ল তৃণমূলের
তিনি তৃণমূলেরই ছিলেন। পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে গেলেন। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বর।
তিনি তৃণমূলেরই ছিলেন। পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে গেলেন। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বর। তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে তাঁকে আগেই দেখা গিয়েছিল। মাঝে কিছুদিন কংগ্রেসে যাতায়াত করছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে গিয়েছিলেন বাগদার কংগ্রেস বিধায়ক দুলাল বর। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তৃণমূল ভবন থেকে বেরনোর সময় দুলাল বর জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুরনো গুরু। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য পার্থদার কাছ থেকে তিনি আশীর্বাদ নিয়ে গেলেন।
পঞ্চায়েত স্তরে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পর ২০০৬ সালে বাগদা থেকে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হন দুলাল বর। ২০১১ সালে তৃণমূল উপেন বিশ্বাসকে টিকিট দেয়। জিতেও যান উপেন বিশ্বাস। ২০১৬-তে তৃণমূলের তরফে ফের উপেন বিশ্বাসকে প্রার্থী করা হলে এক সময়ের মুকুলপন্থী এই নেতা চলে যান কংগ্রেস এবং উপেন বিশ্বাসকে হারিয়ে বাগদা থেকে জিতে যান। জিতে যাওয়ার পর থেকে বারবার তিনি তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফল হন। এরই মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দূত মারফত দুলাল বরকে ডেকে পাঠান বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার এই কংগ্রেস বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে মৌখিক ভাবে বাগদা এলাকায় দলের হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার এবং প্রার্থী বাছাই-সহ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধেয় তৃণমূল ভবন থেকে বেরিয়ে মধ্যমগ্রামে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।