শিশুপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রূপার বাড়িতে সিআইডি
শিশুপাচার কাণ্ডে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে জেরা করতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেল সিআইডি।
জলপাইগুড়ির শিশুপাচার কাণ্ডে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে জেরা করতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেল সিআইডি। এর আগে এই ঘটনায় রূপা ও আর এক বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে নোটিশ পাঠায় সিআইডি। কৈলাস হাজিরা না দিলেও রূপার কাছে পৌঁছে গিয়েছে সিআইডি। এই মামলায় কৈলাসের সহযোগী প্রশান্ত সারিন ও বিনায়ক মিশ্রকেও সমন পাঠিয়েছে সিআইডি।
গত মে মাসে জলপাইগুড়ি শিশু পাচার কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। সেই চার্জশিটে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী, জলপাইগুড়ির তৎকালীন জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষ ও তাঁর স্বামী দার্জিলিংয়ের ডিসিপিও (ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার) মৃণাল ঘোষ, দার্জিলিং সিডব্লিউসি (চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি)-র সদস্য দেবাশিস চন্দ, জলপাইগুড়ির একটি চাইল্ড হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তী, চন্দনার ভাই মানস ভৌমিক, মানসের স্ত্রী সোনালি মন্ডল মিলিয়ে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সেই চার্জশিটেই জুহি চৌধুরীকে বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সূত্রেই রূপা ও কৈলাসকে নোটিস পাঠায় সিআইডি। এদিন জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত প্রায় দুই বছর আগে জলপাইগুড়ির বিমলা হোমে শিশু পাচার চক্রের বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ, হোম থেকে ১৭টি শিশুকে বেআইনি ভাবে দত্তক দেওয়া নিয়ে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে চিঠি পাঠান সিডব্লিউসি-র এক সদস্য৷ তারপরে গতবছরের জুন মাসে সেই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনে নালিশ করেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই একেরপর এক গ্রেফতারি করেছে সিআইডি।