এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি, সিআইডি'র ডাকে সাড়া দিয়ে ভবানী ভবনে হাজিরা বিজেপি বিধায়কের
Array
এতদিন সিবিআই , ইডি বারবার ডেকে পাঠিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। এবার রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি'র জেরার মুখে বিজেপির বিধায়ক। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। টাকে ডেকে পাঠাল সিআইডি। নীলাদ্রিশেখরকে এইমস নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআইয়ের শাখা সংস্থা।
ডাক ভবানী ভবনে
কলকাতায় ভবানী ভবনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে নীলাদ্রিশেখরকে। হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে। অবাধ্য না হয়ে বিধায়ক সেই মতো হাজিরা দেন। সোমবার পুলিশি জেরার মুখে পড়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর ভাই। সৌমেন্দু অধিকারী এখন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক। কাঁথি থানার পুলিশ তাঁকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে টানা ৭ ঘণ্টা জেরা করেছিল । এদিন আবার তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখে আর এক বিজেপি নেতা ও বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। যাকে ডেকে পাঠায় সিআইডি।
ক্ষুব্ধ বিজেপি
শুভেন্দুর
ভাইয়ের
লম্বা
পুলিশি
নিয়ে
ক্ষুব্ধ
ছিল
বিজেপি।
তাঁরা
বলেছিল
যে,
যেহেতু
তৃণমূলের
নেতাদের
কেন্দ্রীয়
সংস্থা
ডাকছে,
তাই
রাজ্য
সরকার
তাঁদের
অধীনে
থাকা
তদন্তকারী
সংস্থা
দিয়ে
প্রতিহিংসার
রাজনীতি
করছে।
এই
প্রসঙ্গে
পাল্টা
দিয়েছে
তৃণমূল
সাংসদ
সৌগত
রায়।
তিনি
বলেন
যে,
''তৃণমূলের
বহু
নেতাকে
ওঁরাও
তো
বারবার
ইডি,
সিবিআইের
মাধ্যমে
ডেকে
পাঠিয়েছে।
ঘণ্টার
পর
ঘণ্টা
হেনস্থা
করেছে
দফতরে
বসিয়ে।
কেমন
লাগে
এখন
বুঝুক।''
এই প্রথম বার নয়
সিআইডি নীলাদ্রিশেখরকে অবশ্য এই প্রথম বার ডাকেনি । কল্যাণী এমসের নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়েই এর আগেও তাঁকে ডাকা হয়েছিল সিআইডী'র তরফে। জুলাই মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বাঁকুড়ার বিধায়ককে। সেই সময় তাঁর কন্যা মৈত্রী দানাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্তকারি সংস্থা।
মেয়েকে এমসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল নীলাদ্রিশেখরের বিরুদ্ধে। বলা হয়েছিল নিজে বিধায়ক তাই'ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি সেই কাজ করেন। অভিযোগ আরও গুরুতর ছিল। নাম জড়িয়ে যায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের। বলা হয়েছিল সুভাষের সুপারিশেই মৈত্রী এমসের নার্সিং কলেজে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর চাকরি পেয়ে যান।
মুর্শিদাবাদের এক চাকরিপ্রার্থীও এমসের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ এনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কল্যাণী থানায়। সিআইডি তারই তদন্ত শুরু করেছে। তবে ভবানী ভবনে এই প্রথম নীলাদ্রিশেখরকে তলব করা হল। আগে যে বার তদন্ত করা হয়েছিল সেবার বিধায়ক এবং তাঁর মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁদের বাড়িতে গিয়েই। সিআইডি প্রতিনিধি পাঠিয়ে সেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
সৌমেন্দুর
বিরুদ্ধে
নানা
অভিযোগ
ছিল।
আর
সেই
সব
অভিযোগ
ছিল
সারদার
ফাইল
লোপাট,
শ্মশানে
স্টল
নির্মাণ,
স্থানীয়
কলেজের
অবৈধ
টেন্ডার
সংক্রান্ত
দুর্নীতি,
পুরসভার
ত্রিপল
চুরি
নিয়ে।
পুলিশ
তাঁকে
প্রায়
প্রায়
সতেরো
ঘণ্টা
ধরে
জেরা
করে।