পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গঙ্গা আরোতি করার পরেই আটক সুকান্ত! ধুন্ধুমার বাবুঘাটে
বিজেপির গঙ্গা আরোতি কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল বাবুঘাটে। আরোতির প্রস্তুতি নিতে গিয়ে সকালেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সজল ঘোষ সহ বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পুলিশের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও অনুমতি দে
বিজেপির গঙ্গা আরোতি কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল বাবুঘাটে। আরোতির প্রস্তুতি নিতে গিয়ে সকালেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সজল ঘোষ সহ বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পুলিশের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। শহরে জি-২০ সম্মেলন চলছে। অন্যদিকে গঙ্গাসাগর উপলক্ষে বহু মানুষ জড়ো হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলাতে সমস্যা হতে পারে।
কার্যত এই অজুহাতে বিজেপির এই কর্মসূচির কোনও অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
যদিও দিনের শেষে পুলিশের নজর এড়িয়েই গঙ্গা আরতি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে যে ঘাটে আরতি করার কথা ছিল সেখানে না গিয়ে অন্য একটি ঘাটে যান তিনি। আর সেখানেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে গঙ্গা-মা'কে পুজো করেন সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। পুলিশের নজর এড়িয়ে এই আরতি হতেই কার্যত বাবুঘাটে শ্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়ে যায়।
পুলিশের সঙ্গে রীতিমত ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে বাবুঘাটে আরতি করার পরেই বাজে কদমতলার দিকে এগিয়ে আসেন সুকান্ত মজুমদার। আর তা নিয়ে উত্তেজনা আরও বড় আকার নেয়। আর এর মধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দেখেন পুলিশ বাবুঘাট থেকে বিজেপি কর্মীদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।
আর তা দেখা মাত্রই পুলিশের গাড়ি আটকে বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কাউকে ছাড়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি বিজেপি সভাপতির। আর তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে একেবারে ধ্বস্তাধস্তি জড়িয়ে পড়েন তিনি। আর তা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পুলিশের বিশাল টিম এই মুহূর্তে বাবুঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, রাজ্যে এমারজেন্সি পরিস্থিতি। প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে এমন আচরণ মানা যায় না। আটক হওয়া বিজেপি কর্মীদের না ছাড়লে তিনি অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা। আর এভাবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়েই সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে কলকাতা পুলিশ। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই মুহূর্তে লালবাজারে। যদিও সেই গাড়িও আটকানোর চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। যা নিয়ে একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড তৈরি হয়ে যায় বলে খবর।
বলে রাখা প্রয়োজন, সকালেই সজল ঘোষ সহ অন্তত ১২ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। আর এরপরেই লালবাজারের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে বলে খবর।