হাড্ডাহাড্ডি লড়েও চৌরঙ্গিতে হারল বিজেপি, জয়ী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়
অথচ চৌরঙ্গিতে ভোটগণনার শুরুতে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। দলীয় প্রার্থী সন্তোষ পাঠক ভালো লিড নিয়েছিলেন সপ্তম রাউন্ড পর্যন্ত। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় আর তৃতীয় স্থানে বিজেপি। কিন্তু তার পর থেকেই ছবিটা বদলে যায়। প্রথম স্থানে উঠে আসেন নয়না। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপির রীতেশ তিওয়ারি। সন্তোষ পাঠক চলে যান তৃতীয় স্থানে। সিপিএমের ফৈয়াজ আহমেদ খান চতুর্থ স্থানে দাঁড়ান। শেষ রাউন্ড অর্থাৎ ষোলো রাউন্ডের শেষে জয়ী ঘোষণা করা হয় নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরও
পড়ুন:
ঘাসফুলের
ভিড়ে
পদ্ম
ফুটিয়ে
ইতিহাস
গড়লেন
শমীক
আরও
পড়ুন:
বসিরহাট
হাতছাড়া,
চৌরঙ্গিতে
জামানত
জব্দ,
দুঃসময়
কাটল
না
সিপিএমের
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে এখানে জিতেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শিখা মিত্র। তিনি পরে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়েছিল। ফলে চৌরঙ্গি ধরে রাখতে পারল তৃণমূল। কিন্তু চিন্তার বিষয়, এখানে সেই সময় বিজেপি চতুর্থ স্থানে ছিল। এ বার তারা উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে।
একটা বিষয় মনে রাখা দরকার। রাজ্যে বিজেপিকে আর অবহেলা করা যাবে না। লোকসভা ভোটের সময় থেকেই যেভাবে তারা দ্রুত উঠে আসছে, তাতে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কী হবে, বলা মুশকিল। নইলে কলকাতার বুকে চৌরঙ্গিতে বিজেপি প্রার্থী প্রায় ২৪ হাজার ভোট পাবেন, এটা এক সময় কল্পনাতীত ছিল। সেটাই করে দেখালেন রীতেশ তিওয়ারি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিজেপির এ বার সংগঠন বাড়ানোর দিকে মন দেওয়া উচিত। যদি ভালো সাংগঠনিক ক্ষমতা থাকত, তা হলে হয়তো চৌরঙ্গি আসনেও বাজিমাত করতে পারত তারা।