করোনা ভয়ে একদিনেই শেষ রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন, মমতার চক্রান্ত অভিযোগ বিরোধীদের
করোনা ভয়ে একদিনেই শেষ রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন, মমতার চক্রান্ত অভিযোগ বিরোধীদের
করোনা আবহের মধ্যেই শুরু হয়েছিল রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন। ৯ তারিখ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল বিধানসভার বাদল অধিবেশন। কিন্তু করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে সেটা কেবল মাত্র একদিনই হবে বলে ঘোষণা করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। মমতার চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিধানসভা অধিবেশন
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আজ থেকে শুরু হওয়ার কথা বিধানসভা অধিবেশন। ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনা বিধি মেনে বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার জন্য একাধিক বিধিনিষেধের কথা ঘোষণা করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরীক্ষা থেকে বিধায়কদের আসন নির্নয় সব ক্ষেত্রেই সুরক্ষা বিধি মানা হয়েছিল।
সর্বদল বৈঠকে সিদ্ধান্ত বদল
কিন্তু বিধানসভা অধিবেশনের আগে গতকাল সর্বদল বৈঠকে সিদ্ধান্ত বদল করা হয়ে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেবল মাত্র ৯ সেপ্টেম্বরই বসবে বিধানসভা অধিবেশন। দীর্ঘক্ষণ যাতে বিধানসভা থাকতে না হয় সেকারণে একদিনের জন্যই অধিবেশন রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ৯ সেপ্টেম্বরই কয়েকটি রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য সরকার।
ক্ষুব্ধ বিরোধীরা
মমতা সরকারের একদিনের বিধানসভা অধিবেশনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে আবদুল মান্নানরা। তিনি অভিযোগ করেছেন অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মমতা সরকার। বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আবদুল মান্নান অভিযোগ করেছেন জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতায় প্রস্তাব পেশ করতে চেয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু সেটা হতে দিতে চাইছে না মমতা সরকার।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মার্চ মাসে মুলতুবি করা হয়েছিল বিধানসভা অধিবেশন। তার ৬ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু করতেই হয় সেকারণেই অধিবেশনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা কারণে কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাচ্ছে না। তাই আনুষ্ঠানিক ভাবে অধিবেশন শুরু করেই সেটা মুলতুবি করতে হচ্ছে।
করোনা আক্রান্ত একাধিক মন্ত্রী বিধায়ক
ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী। সেকারণেই আরও ভয় পাচ্ছে তৃণমূল সরকার। বিধানসভা অধিবেশন শুরু আগে সব বিধায়ক এবং সাংবাদিকদের অ্যান্টিজেন টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিধানসভায় প্রবেশের উপরেও নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে।