শাহের সফরের আগেই বারাসতে চরমে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, সাংগঠনিক জেলা কমিটির পদ থেকে গণইস্তফা
শাহের সফরের আগেই বারাসতে চরমে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, সাংগঠনিক জেলা কমিটির পদ থেকে গণইস্তফা
অমিত শাহের সফরের আগেই বঙ্গ বিজেপিতে আরও প্রকট হল বিদ্রোহ। বারাসতের জেলা কমিটির পদ থেকে গণইস্তফা নেতাদের। বিজেপির অন্দরে বাড়ল আরও অস্বস্তি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিজেপির অন্দরে আদি নব্যের বিবাদ চরমে উঠেছে। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব নীচু তলার নেতাদের কথা শুনতে চাইছে না বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন অনেক নেতাই। অনুপম হাজরা থেকে সৌমিত্র খাঁ সকলেই এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। এমনকী বিধায়ক অশোক দিন্দাও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। একের পর এক নেতার এই ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে চরমঅস্বস্তিতে পড়েছে দল।
বারাসতে জেলা কমিিটতে গণইস্তফা
এক সঙ্গে ১৫ জন বিজেপি নেতা ইস্তফা দিয়েছে বারাসত জেলা বিজেপির কমিটি থেকে। হঠাৎ করে কী এমন ঘটল বারাসতে বিজেপির অন্দরে যে একসঙ্গে ১৫ জন নেতা ইস্তফা দিলেন। পদত্যাগীরা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি দিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন জেলা বিজেপি সভাপতি। তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে তাঁর। এমনকী টাকা নিয়ে পুরভোটে টিকিট দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
পুরভোট নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ
পদত্যাগী বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন পুরসভোটে টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়েছিল বারাসতে। সেকারণেই অযোগ্য ব্যক্তিরা প্রার্থী হয়েছিলেন। আর তাতেই উত্তর ২৪ পরগনা েজলার ১০৪টি পুরসভা ভোটেই হেরেছে বিজেপি প্রার্থীরা। বারাসতের বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিত্রকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে বিক্ষুব্ধদের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তাপস মিত্র। তিনি পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন তিনি টাকার বিনিময়ে টিকিট দিয়েছেন তাহলে জেলা সভাপতির পদ থেকে নিজেই সরে দাঁড়াবেন। এই নিয়ে বারাসতে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
জেলায় েজলায় বিদ্রোহ
শুধু বারাসত নয় এর আগে মুর্শিদাবাদেও বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল বিজেপির অন্দরে। দলের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক গৌরী শঙ্কর ঘোষ। বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র এবং রাজ্য কমিচির আরও দুই নেতাও পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বাঁকুড়া জেলাতেও বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহ প্রকট গয়েছিল। বাঁকুড়ায় মণ্ডল সভাপতির পদ নিয়ে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। নদিয়া জেলাতেও বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহ প্রকট হয়েছিল। একের পর এক বিজেপি নেতা বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন।
সুকান্ত বনাম দিলীপ
শুধু নিচু তলাতেই নয় বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ স্তরেও দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন দলের রাশ টানতে ব্যর্থ সুকান্ত মজুমদার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একুশের ভোটের দলের হারের পর দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতি পদে বসানো হয়। দল দায়িত্ব দিলেও অনভিজ্ঞতার কারণে তিনি যে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন সেকথা প্রকাশ্যেই বলেছেন দিলীপ ঘোষ। সামনেই আবার আসছেন অমিত শাহ। দলের বিদ্রোহ সামাল দিতেই অমিত শাহের এই বঙ্গ সফর বলে মনে করা হচ্ছে।
'একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে ইউরোপ,' তিনদিনের সফরে যাওয়ার আগে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য মোদীর