শোভাযাত্রার পর গঙ্গার ঘাটে সারিবদ্ধ বিসর্জন, চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে পুরসভা
কলকাতা, ১৪ অক্টোবর : একদিন বিরতি থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে শুরু হয়েছে কলকাতার বারোয়ারি পুজোর বিসর্জন। শুক্রবার দুর্গাপুজোকে কার্নিভালের রূপ দিয়ে রেড রোডে শোভাযাত্রার পর সারিবদ্ধভাবে বিসর্জন পর্ব সাঙ্গ করতে তৈরি কলকাতা পুরসভা।
এদিন সকাল থেকেই ঘাট পরিষ্কার চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ২৮০টি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়েছে শুধুমাত্র বাঁজা কদমতলা ঘাটে। সেই সমস্ত প্রতিমার কাঠামো, ফুল-বেলপাতা ও অন্যান্য সামগ্রী সরিয়ে ঘাট পরিষ্কার ও গঙ্গাকে দুষণমুক্ত করতে পুরকর্মীরা নিরলস চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে অতিরিক্ত পুরকর্মী। বিসর্জন নির্বিঘ্ন করতে গঙ্গার ঘাটগুলি কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গতকাল থেকেই। শুক্রবার সেই নিরাপত্তার মোড়ক আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কলকাতার বাবুঘাট, নিমতলা ঘাট, বাগবাজার ঘাট-সহ ২৪টি ঘাটেও সাররাত নিরঞ্জন চলেছে। সেই সমস্ত ঘাটও পরিষ্কার করার কাজ চলছে। প্রতিমা জলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাঠামো তুলে আনা হচ্ছে। কাঠামো ও অন্যান্য বর্জ্য গাড়ি করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ধাপায়। এই প্রক্রিয়ায় বিরতি নেই গত ২৪ ঘণ্টায়।
এবার আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। এদিন শোভাযাত্রার পর সেরা পুজোগুলির নিরঞ্জন পর্ব শুরু হওয়ার পরই গঙ্গার ঘাটে চাপ বাড়বে বলে মনে করছে পুরসভা, বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে সেই অবস্থার সামাল দিয়ে পুরো কাজ নির্বিঘ্নে সারতে তৈরি তারা। তৈরি পুলিশও। ঘাটগুলিতে তৈরি হওয়া ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি চালানো হবে।
প্রতিটি ঘাটে থাকছেন একজন করে জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার অফিসার, থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশকর্মী। প্রতিটি ঘাটে নজরদারিতে থাকছে রিভার ট্রাফিক পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের তরফেও থাকছে বিশেষ দল। তৈরি হয়েছে পুলিশের কন্ট্রোলরুম।