দুবছর আগেও ছিলেন ছাত্র, বুদ্ধ গয়া বিস্ফোরণে জড়িত জামাত জঙ্গী সম্পর্কে বিস্ময়কর তথ্য
ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেফতার হওয়া জেএমবি জঙ্গি দিলওয়ার হাসান, দুবছর আগে দক্ষিণ কলকাতার এক কলেজের উজ্জ্বল ছাত্র ছিল। ২০১৬ সালে জেএমবি নেতা কওশরের ডানহাত আদিলের পাল্লায় পড়েই বদলে যায় তার জীবন।
মাত্র দুবছর আগেও দক্ষিণ কলকাতার এক নামি কলেজের ভাল ছাত্র ছিল। এমন বিস্ময়কর তথ্যই জানা গিয়েছে ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃত জামাত উল মুজাহিদিন জঙ্গী দিলওয়ার হোসেন ওরফে আলি হাসান সম্পর্কে। কিন্তু ২০১৬ সালে জেএমবি নেতা কওশরের ডানহাত আদিলের পাল্লায় পড়েই বদলে যায় তার জীবন।
জানা গিয়েছে আদিল দিলওয়ারকে বলেছিল দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে মুসলিমদের উপর চলা নিপীড়নের প্রতিবাদ করা উচিত। এসডিএফ কর্তারা জানিয়েছেন আদিলের সঙ্গে মেলামেশার শুরুর পরই ভাল ছাত্র হিসেবে পরিচিত দিলওয়ার কলেজ যাওয়া ছেড়ে দেয়। বদলে মধ্য কলকাতায় সে একটি মোবাইল ফোনের দোকান খুলে বসেছিল। আসলে ততদিনে সে জেএমবির জঙ্গী জীবনে বেছে নিয়েছিল।
(আরও পড়ুন - কলকাতা পুলিশের জালে বুদ্ধ গয়া বিস্ফোরণে জড়িত জামাত জঙ্গি আলি)
পুলিশের দাবি আদিলের মারফতই কওশরের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় দিলওয়ারের। ভাল ছাত্র বলে অল্প দিনের মধ্যেই সে পশ্চিমবঙ্গে নিও-জেএমবির উঁচু পদে বসেছিল। এসটিএফ কর্তারা জানিয়েছেন ২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর থেকে দুই বাংলাতেই জেএমবির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল সরকার। তাই কওশর একটা সুযোগ খুঁজছিল ভারতে তার উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্য।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পূর্বভারতে অশান্তি সৃষ্টির ছক কষেছিল সে। বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য এলাকায় বারবার রেইকি করার ভার দেওয়া হয় দিলওয়ারের উপর। তবে শুধু রেইকি নয়, ১৯ জানুয়ারি সেখানে আইইটি বসাতেও সে বড় ভূমিকা নিয়েছিল বলেই জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।
(আরও পড়ুন - বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ! জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে রাজ্য থেকে গ্রেফতার ১)
আপাতত দিলওয়ারকে দফায় দফায় জেরা করে তার কাছ থেকে মোস্ট ওয়ান্টেড জামাত জঙ্গী সালাউদ্দীন আহমেড ওরফে সালাউদ্দীন সালেহিনের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ।