অভিষেকের শ্যালিকার বাড়িতেও সিবিআই! বিজেপির কোনও হাত নেই বলে দাবি প্রাক্তন বিধায়কের
দুপুর ২টো নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। শুরু হয় জোর রাজনৈতিক চর্চা। একদিকে যখন এই চর্চা চলছে বিকেলের দিকে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের শ্যালিকার বাড়িতেও পৌঁছে যান সিব
উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। রবিবাসরীয় দুপুরে হঠাৎ করেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে গেল সিবিআই। কয়লা পাচার-কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সূত্রের দাবি, কয়লা পাচারের টাকা থেকে বিভিন্ন হাত ঘুরে জমা পড়েছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
সিবিআই সূত্রের দাবি, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী-কে প্রশ্ন করতে চায় গোয়েন্দারা। যদিও তৃণমূলের দাবি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করতেই নোটিশ অভিষেকের স্ত্রীকে। ভয় কিসের পালটা দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির দিলীপ ঘোষের। যদিও রাজনৈতিক এই চর্চার মধ্যেই অভিষেকের শ্যালিকার বাড়িতেও পৌঁছে যায় সিবিআই
কয়লা পাচার-কান্ডে সাংসদের শ্যালিকার বাড়িতেও সিবিআই
দুপুর ২টো নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। শুরু হয় জোর রাজনৈতিক চর্চা। একদিকে যখন এই চর্চা চলছে বিকেলের দিকে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের শ্যালিকার বাড়িতেও পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। আনন্দপুরে শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের বাড়িতে গিয়ে নোটিশ পৌঁছে দিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রের দাবি, নোটিশ দেওয়া হয়েছে সিআরপিসির ১৬০ ধারায়। জানানো হয়েছে, রুজিরা এবং বোন মেনকাকে কয়লাকাণ্ডে সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।
কেলেঙ্কারিতে আরও তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসবে
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই! যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিজেপি সিবিআইকে ব্যবহার করছে বলে অভিয়োগ করে তৃণমূল। পালটা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে! অন্যায় না করলে ভয় কীসের? প্রশ্ন রাজ্য সভাপতি। তিনি আরও বলেন, কয়লা পাচারের তদবত করছে সিবিআই। নিশ্চয় কিছু পেয়েছে তাই নোটিশ। তবে সাংসদ মনে করেন, তদন্তে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে আরও তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসবে। শাসকদলের নেতারা যে কয়লাপাচারে যুক্ত ছিলেন সেটা গোটা রাজ্যের মানুষ জানেন। ফলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
বিজেপির কোনও হাত নেই, বলছেন শমীক ভট্টাচার্য
ইতিমধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, অভিষেকের মামলায় অমিত শাহকে সমন করেছে আদালত। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিবিআই হানা বলে দাবি বিজেপির। যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সিবিআই তার কাজ করছে। এই ঘটনায় তারা যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার মনে করেছে তাঁকে নোটিশ দিয়েছেন। এতে বিজেপির কোনও হাত নেই। আমরা কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করি না বলেই মন্তব্য এই বিজেপি নেতার।
নোটিশ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন অভিষেক
এদিন সিবিআই হানার কিছুক্ষণ পরই তিনি মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্মে পোস্ট করেছেন সেই নোটিশের ছবি। সেইসঙ্গে তিনি নিজেই জানিয়েছেন যে এদিন তাঁর বাড়িতে এসে নোটিশ দিয়ে গিয়েছে। সেই নোটিশ সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরে কেন্দ্রকে বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি লিখেছেন, 'যদি মনে করেন যে এই ভাবে আমাদের ভয় দেখাবেন, তাহলে ভুল করছেন। আমরা মাথা নিচু করার লোক নই।' পাশাপাশি আইনের উপর ভরসা রাখার কথাও বলেছেন তিনি।