বিজেপিতে যাচ্ছেন বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে কিছু সংবাদমাধ্যম, তোপ অধীরের
সিপিএমের সঙ্গে জোট ধর্ম বজায় রাখতে রাজ্যসভায় সাংসদপদে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকেই চেয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
বিধানসভায় সিপিএমের সঙ্গে জোট করে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে চলেছে কংগ্রেস। সেই জোট ধর্ম বজায় রেখে কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভায় সাংসদপদে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকেই চেয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বারবার বলতে চেয়েছেন ইয়েচুরি সাংসদ পদপ্রার্থী হলেই ভালো হয়। কংগ্রেস তাহলে পূর্ণ সমর্থন দিতে প্রস্তুত থাকবে। কিন্তু তাঁর কথার অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে
একহাত
নিয়ে
তিনি
শনিবার
বলেন,
সংবাদমাধ্যম
সস্তা
প্রচারের
উদ্দেশ্যে
প্রচার
করে
গিয়েছে
অধীর
বিজেপিতে
যাচ্ছে।
শুধু
মুখরোচক
খবর
তৈরির
জন্যই
তাঁর
কথার
ভুল
ব্যাখ্যা
করা
হয়েছে
বলেও
দাবি
করেছেন
অধীর।
রাহুল
গান্ধীও
জাতীয়
রাজনীতিতে
সীতারাম
ইয়েচুরির
প্রয়োজনীয়তার
কথা
বলেছিলেন
বলে
দাবি
প্রদেশ
কংগ্রেস
সভাপতির।
এরই
ভিত্তিতে
ইয়েচুরিকে
সাংসদ
পদপ্রার্থী
করার
জন্য
সওয়ালও
করেন
বলে
জানিয়েছেন
তিনি।
কিন্তু,
বারবার
সংবাদমাধ্যম
তাঁকে
হাইকম্যান্ডের
বিরোধী
বলে
তুলে
ধরা
হয়েছে
বলে
অভিযোগ
অধীরের।
সম্প্রতি
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সঙ্গে
সনিয়া
গান্ধীর
বৈঠক
নিয়েই
বিতর্কের
সূত্রপাত।
তৃণমূলকে
গণতন্ত্র
ধ্বংসকারী
দল
বলে
উল্লেখ্য
করে
সনিয়া
গান্ধীকে
চিঠি
লেখেন
অধীর
চৌধুরী।
বলেন,
তৃণমূলের
হাতে
রাজ্যে
বারবার
কংগ্রেস
আক্রান্ত
হয়েছে।
তিনি
বলেছিলেন,
আজ
কংগ্রেসের
ভঙ্গুর
দশার
প্রধান
কারণ
তৃণমূল।
তাঁরা
কংগ্রেস
ভেঙে
নিজেদের
ভিত
শক্তিশালী
করছে।
যাঁরা
তৃণমূলে
যাচ্ছেন
না,
সেই
সমস্ত
কংগ্রেসিদের
মিথ্যে
মামলায়
ফাঁসানো
হচ্ছে,
খুন
করা
হচ্ছে।
তাই
তাঁদের
সঙ্গে
জোট
করার
আগে
প্রদেশ
কংগ্রেসের
অবস্থান
তিনি
জানিয়েছিলেন
হাইকম্যান্ডকে।
এছাড়া রাজ্যসভার সাংসদ পদ নিয়েও তিনি হাইকম্যান্ডের সমালোচনা করেছিলেন। বলেছিলেন, কাউকে চাপিয়ে দিলে প্রদেশ মানবে না। অধীর চৌধুরী বলেছিলেন কে প্রার্থী হবেন, তা স্থির করবেন বিধায়করাই। এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের কাছাকাছি আসতে বিধানসভায় কংগ্রেসের ঘরে গিয়ে খোশ গল্পে মেতেছেন।
কংগ্রেস বিধায়কের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপহার কেনার জন্য চাঁদা দিয়েছেন। আবার পার্টির কোর কমিটির মিটিংয়ে কংগ্রেসের প্রতি নমনীয় হওয়ার বার্তা দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নমনীয়তা নিয়ে অধীর অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি। কোনও সমালোচনাও করেননি কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড ও তৃণমূল সুপ্রিমোর।
{promotion-urls}