আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিল মার্কিন তরুণরা, পছন্দের তালিকায় শীর্ষে বাইডেন
আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিল মার্কিন তরুণরা, পছন্দের তালিকায় শীর্ষে বাইডেন
আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল করেছিল। সমীক্ষায় আগেই বলা হয়েছিল, মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবিকানরা ভালো ফল করবে। কিন্তু সমীক্ষার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল পাওয়া যায়নি। এর নেপথ্যে আমেরিকার তরুণ ভোটাররা রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যাঁরা এই নির্বাচনে প্রথমবারের জন্য ভোট দিলেন। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকার তরুণ ভোটাররা কংগ্রেস রিপাবলিকানের থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে বেশি পছন্দ করছেন।
বাইডেনের প্রতি আস্থা মার্কিন তরুণ সমাজের
সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড রিসার্চ অন সিভিক লার্নিং অ্যান্ড এনগেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে ২৭ শতাংশ ভোটার ছিলেন মার্কিন তরুণ সম্প্রদায়ের। যাঁরা প্রথমবারের জন্য ভোট দিচ্ছেন। মার্কিন তরুণ সমাজের একটা বড় অং ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে সমর্থন করেন। মার্কিন ভিত্তিক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকায় গত তিন দশকে সব থেকে বেশি ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তরুণ ভোটার রয়েছেন, যাঁরা প্রথমবারের জন্য ভোট দিচ্ছেন। মার্কিন ভিত্তিক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই নির্বাচনের যুদ্ধে আরও বেশি তরুণ ভোটারের অংশগ্রহণের প্রয়োজন ছিল।
তরুণ ভোটারদের জন্যই সমীক্ষার ফলাফল ব্যর্থ হয়েছে
সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড রিসার্চ অন সিভিক লার্নিং অ্যান্ড এনগেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, তরুণ ভোটাদের কারণেই সমীক্ষার ফলাফল সঠিক হয়নি। আমেরিকার নয়টি প্রদেশ ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলিনা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নেভাদা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিনে তরুণ ভোটারদের সঙ্গে সংখ্যা ছিল ৩১ শতাংশ। যাঁরা প্রথমবারের জন্য ভোট দিলেন। যুব ভোটারদের জন্য ভবিষ্যতেও এক্সিট পোলের একাধিক ধারণা ব্যর্থ হবে বলে মার্কিন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
মার্কিন তরুণদের রাজনীতিতে অংগ্রহণ
২০২২ সালে আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে তমার্কিন তরুণ সম্প্রদায়ের একাধিক প্রতিনিধি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। প্রার্থী হয়েছিলেন। তেমনি তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা বড় অংশ আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ১৯৯০ সালে আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ২০ শতাংশ ভোট ছিল তরুণ সম্প্রদায়ের। এরপরেই আমেরিকার নির্বাচনে বা রাজনীতিতে তরুণ সম্প্রদায়কে সেভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে মার্কিন তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণের প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ২০২২ সালের আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনে সেই প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ২০২২ সালের আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের একাধিক কেন্দ্রে এক চতুর্থাংশের বেশি ভোট তরুণ-তরুণীরা দিয়েছে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
বাইডেনকে পছন্দ মার্কিন তরুণদের
আমেরিকার সব থেকে প্রবীণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলেন জো বাইডেন। তবে তিনি আমেরিকার নয়া প্রজন্মের জন্য একাধিক কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারমধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ছাত্রদের ঋণ দেওয়ার পদ্ধতি। আগের থেকে অনেক সহজ উপায়ে মার্কিন ছাত্ররা যাতে ঋণ পেতে পারেন, সেই বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
এক্সিট পোলের তথ্য
এক্সিট পোলের তথ্য অনুসারে, ১৮ থেকে ২৯ বছরের তরুণরা সব থেকে বেশি ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন করেছেন। ৩০-৪৪ বছরের ভোটারদের মধ্যে ৫১ শতাংশ ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন করেন। অন্যদিকে, ৪৭ শতাংশ রিপাবলিকানদের সমর্থন করেছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়ার বংশোদ্ভুত যবকরা ব্যাপকভাবে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন করেন। বাকিদের মধ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের প্রতি সমর্থন ভাগ হয়ে গিয়েছে। তবে দেশের প্রবীণ ভোটারদের বেশিরভাগ রিপাবলিকানদের সমর্থন করছেন।
সমালোচনা এড়াতে চাইছেন ভ্লাদিমির পুতিন! জি-২০ সম্মেলনে উপস্থিত থাকছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট