বিশ্ববাজারে ১ নম্বরে শাওমি, দৌড়ে পিছিয়ে স্যামসং, অ্যাপল! কি কারণে এতবড় সাফল্য এই চিনা সংস্থার?
বিশ্ববাজারে ১ নম্বরে শাওমি, দৌড়ে পিছিয়ে স্যামসং, অ্যাপল! কি কারণে এতবড় সাফল্য এই চিনা সংস্থার?
টক্করটা তীব্র হচ্ছিল বিগত কিছুমাস ধরেই। অবশেষে স্যামসাংকে টপকে গেল শাওমি। নয়া এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে ফোন বিক্রির ব্যবসার দিক থেকে গোটা বিশ্বে শীর্ষ স্থান দখল করেছে চিনা এই সংস্থা। এর আগে তারা অ্যাপলকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছিল শাওমি, এবার স্যামসাংকে ছাড়িয়ে গেল তারা।
ভিয়েতনাম স্যামসংকে কড়া টক্কর শাওমির
কাউন্টারপয়েন্ট নামের এক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, এ বছরের দ্বিতীয় তিন মাসে অর্থাৎ দ্বিতীয় কোয়ার্টারে শাওমি ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন ফোন শিপমেন্ট করেছে ইউরোপের বাজারে। আর তাতেই এই বড় সাফল্য হাত এসেছে তাদের। অন্যদিকে ভিয়েতনামের কোভিড পরিস্থিতিতেও ফোন বিক্রিতে কোনো ভাটা দেখা যায়নি। এদিকে এই ভিয়েতনামেই এক সময় বড় দাপট ছিল স্যামসংয়ের। কিন্তু বর্তমানে বাজারের সবথেকে বড় সংস্থা হয়ে উঠেথে শাওমি।
২৬ শতাংশ বেড়েছে স্মার্টফোন বিক্রির পরিমাণ
কাউন্টারপয়েন্টের পরিসংখ্যানও স্পষ্ট বলছে আগের থেকে ভিয়েতনামে শাওমির ফোন বিক্রি ২৬ শতাংশ বেড়েছে। যার ছাপ পড়েছে বিশ্ববাজারেও। এদিকে আগে এই ভিয়েতনামেই সব চেয়ে বেশি আধিপত্য ছিল কোরিয়ান টেক জায়ান্ট স্যামসাংয়ের, এমনকী এখানেই প্রচুর ডিভাইজ নিজস্ব কারখানায় তৈরি করে স্যামসাং। এদিকে কাউন্টারপয়েন্টের জুন ২০২১-এর রিপোর্ট অনুযায়ী স্মার্টফোন বিক্রির নিরিখে বিশ্ববাজারে ১৭.১ শতাংশ জায়গা দখল করে ফেলেছে শাওমি।
বাজারে কোন অবস্থায় দাংড়িয়ে স্যামসাং
অন্যদিকে ওই পরিসংখ্যানেই বলা হচ্ছে বর্তমানে শাওমির পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্যামসং। তাদের দখলে রয়েছে ১৫.৭ শতাংশ জায়গা। শুধু ইউরোপে স্যামসাং শিপমেন্ট করেছে ১২ মিলিয়ন ফোন যা তাদের গত বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অন্যদিকে বিশ্ববাজারে ১৪.৩ শতাংশ জায়গা দখল করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিশ্বখ্যাত মার্কিন সংস্থা অ্যাপল। যদিও এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেই এই সাফল্য দেখেছে শাওমি। তবে গোটা বছরের রিপোর্ট পেতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে আরও ছয় মাস।
হুয়াওয়ের ব্যবসায় মন্দার জেরেই শাওমির সাফল্য
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারলে বছর শেষেও বিশ্ববাজারে স্যামসাংকে ছাড়িয়ে যাওয়া শাওমির পক্ষে অসম্ভব কিছুনা। চিন, ইউরোপ, আফ্রিক সহ মধ্যপূর্বের দেশগুলিতে ব্যবসা বাড়াতে তারা আগের থেকে অনেক বেশি সচেষ্ট হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে আর এক নামী চিনা সংস্থা হুয়াওয়ের ব্যবসায় মন্দা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। আর উল্টে তারই লাভের গুড় বর্তমানে নিজেদের ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে শাওমি, এমনটাই মত প্রযুক্তি বিশারদদের।