মঙ্গলের দরজা আসলে কী? ব্যাখ্যা করলেন বিশেষজ্ঞরা
মঙ্গলের দরজা আসলে কী? ব্যাখ্যা করলেন বিশেষজ্ঞরা
খালি চোখে হোক কিংবা দূরবীনে মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে মাঝেমাঝেই এমন কিছু খুঁজে পেয়েছে যা প্রাথমিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়নি! যদিও পরে তার যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা সাজানোর চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এরকমই একটি ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে সারা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়া৷ ৭ মে নাসা মার্স রোভার কিউরিওসিটি যানের মাস্টক্যাম দিয়ে মঙ্গলের একটি অংশের ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে৷ সেই ছবিটি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে।
মঙ্গলে দরজা নিয়ে বিতর্ক!
প্রাথমিকভাবে ওই ছবিতে মঙ্গলের একটি অংশে পাথর কেটে একটি দরজা তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে৷ যা রীতিমতো হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে৷ মঙ্গলে প্রাণের সম্ভাবনার কথা মাঝে মাঝেই সামনে এসেছে৷ এই দরজার ছবি সে আলোচনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু আদপে বিষয়টা কী? সত্যিই কি মঙ্গলে এলিয়েনরা দরজা বানিয়েছে? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু একেবারেই অন্য কথা বলছেন!
এলিয়েনরাি বানিয়েছে দরজা? কি বলছপন বিজ্ঞানীরা?
অনেকেই দাবি করেছেন এই দরজা আসলে এলিয়েনদের। তবে, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক সঞ্জীব গুপ্ত মঙ্গলের দরজার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে ব্যাখ্যা করে বলেছেন, একটি একটি গভীর ফাটল বা যা কিছুটা দরজার মতো দেখতে৷ এরকম ফাটল মঙ্গল এবং পৃথিবী প্রচুর দেখতে পাওয়া যায়। গত কয়েকশ মিলিয়ন বছরে যে কোনও সময় ঘটতে পারে। মঙ্গল এবং পৃথিবীতে প্রচুর পরিমাণে এরকম ফাটল রয়েছে - সেগুলি তৈরি করার জন্য মার্সকম্পের প্রয়োজন নেই! ভূমিকম্প, পাথরের ক্ষয় সহ বিভিন্ন কারণে এটি হতে পারে!
ওটি দরজায় নয়, জুম করা ছবি মাত্র!
অধ্যাপক গুপ্তা, নাসার কিউরিওসিটি মিশনে কাজ করছেন৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, চিত্রটিতে মোটেও অদ্ভুত কিছু নেই - এগুলি কেবল স্বাভাবিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া সৃষ্ট ফাটল! নাসার বিজ্ঞানীদের তরফেও বলা হয়েছে সাধারণ দৃষ্টিতো যেটিকে একটি বড় আকারের দরজা বলে মনে হচ্ছে সেটি আসলে খুবই ছোটো ফাটল! কারণ এই ছবিটি অত্যন্ত জুম করা হয়েছে। ফাঁকটি আসলে একটি পাথরের একটি ছোট ফাটল। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে এটি কতটা ছোট! তারা বলেছিলেন এই প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার বাই 4৫ সেন্টিমিটার। এর আশেপাশেও এরকম কয়েকটি ফাটল রয়েছে৷ তবে বিজ্ঞানীরা একেবারেই হতাশ করছেন না৷ তাঁরা বলছেন কিউরিওসিটি মঙ্গলে প্রাণের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে এবং সেখানে হয়ত অতীতে প্রাণের চিহ্ন ছিল!
তাজমহলের জমি আপনাদের হলে প্রমাণ দিন, সাংসদ দিয়াকে চ্যালেঞ্জ শাহজাহানের বংশধরের