কিম জং উন এখন কোথায়, কী হয়ে থাকতে পারে তাঁর? কি বলছে বিভিন্ন রিপোর্ট!
কিম জং উন এখন কোথায়, কী হয়ে থাকতে পারে তাঁর? কি বলছে বিভিন্ন রিপোর্ট!
করোনার প্রকোপে যখন গোটা বিশ্ব তটস্থ, তখনই বিশ্বজুড়ে নানা জল্পনার কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর থেকে সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক। তবে কিমকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়াতে উঠে আসছে আরও অনেক 'কনস্পিরেসি থিওরি'।
পিয়ংইয়ংয়ে সফরে চিনা চিকিৎসক দল
কিমের শরীরের খারাপের মধ্যেই পিয়ংইয়ংয়ে সফরে যায় চিনা চিকিৎসক দল। এই দলের সফর ঘিরে তৈরি হয় বিস্তর জল্পনা। তবে দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডেইলি এনকে নিউজের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত কিমের অস্ত্রপচার হয়। এবং বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন ধীরে ধীরে।
দুই সপ্তাহ আগে অস্ত্রোপচার হয় কিমের
দুই সপ্তাহ আগে অস্ত্রোপচার হয় কিম জং উনের। তার পর থেকেই মধ্য তিরিশের নেতার শরীর ভালো যাচ্ছে না বলে খবর। এরমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়, সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন কিম জং উন। এই খবর প্রকাশ করে সিএনএন দাবি করে, যদিও এই বিষয়ে প্রথমে মার্কিন প্রশাসন মুখ খোলেনি। পরে অবশ্য দাবি করে সিএনএন-এর রিপোর্ট সঠিক নয়। পুরোনো কিছু নথির ভিত্তিতে তাদের সেই রিপোর্ট বলে দাবি করা হয়।
কিমকে নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
এদিকে সোমবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিক বৈঠরে ট্রাম্প কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, 'ওঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে আমি খুব ভালোভাবেই জানি । আমি এখনই কিছু বলতে পারব না। শুধু বলব আমি চাই, কিম জং সুস্থ হয়ে উঠুক।' কিম জং উন যে বেঁচে আছেন সে বিষয়টি উসকে দিল ট্রাম্পের এই মন্তব্য। তবে এরই সঙ্গে এই মন্তব্যে এটাও বোঝা গেল কিম জং বেঁচে থাকলেও অসুস্থ রয়েছেন।
করোনা থেকে বাঁচতেই লুকিয়ে কিম?
এদিকে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের একটা অংশ মনে করছে যে সন্দেহবাতিক কিম করোনা থেকে নিজেকে বাঁচাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন এভাবে। প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্ব করোনায় জর্জরিত। তবে উত্তর কোরিয়ার দাবি তাদের দেশে করোনা সংক্রমণ নেই। যদিও উত্তর কোরিয়ার সেই দাবি নাকচ করে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
কিমকে নিয়ে গুঞ্জনের সূচনা
প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল ছিল কিমের দাদুর জন্মদিন। এ উপলক্ষে ওই দিন আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন কিম। এটি অনেক বড় বিষয়। কারণ কিমের দাদু উত্তর কোরিয়ার জাতির জনকের জন্মদিন দেশটির জন্য খুব বড় অনুষ্ঠান। কিম জং-উন কখনও এ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকেননি। এরপরই শুরু হয় গুঞ্জন।
মিসাইল পরীক্ষার সময় আঘাত পান কিম?
এদিকে জানা গিয়েছে ১৪ এপ্রিল উত্তর কোরিয়ায় একটি সামরিক অনুশীলন হয়। সেখানে মিসাইল পরীক্ষণও চলে। করোনা প্রকোপেও বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তর কোরিয়া পরপর মিসাইল পরীক্ষণ চালাচ্ছিল। এই মিসাইল পরীক্ষআর সময়েই কিম আঘাত পেয়েছেন বলে দাবি করে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আমেরিকায় আশ্রয় নেওয়া এক হাই প্রোফাইল নেতা।
কী বলছে মার্কিন প্রশাসন?
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক নর্থ কোরিয়া মনিটরিং প্রজেক্ট থার্টিএইট নর্থ বলে, প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের ব্যক্তিগত ট্রেন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। ট্রেনটি নর্থ কোরিয়ার ছোট্ট একটি শহরের অবকাশ কেন্দ্রে অবস্থান করছিল। তবে কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে এখনো কাটেনি ধোঁয়াশা।
কিমের ব্যক্তিগত ট্রেন
থার্টি এইট নর্থ বলছে, ওই ট্রেনটি উত্তর কোরিয়ার উনসানে লিডারশিপ স্টেশনে পার্ক করা ছিল ২১ এপ্রিল এবং ২৩ এপ্রিল। এই স্টেশনটি কিমের পরিবারের জন্য সংরক্ষিত। অর্থাৎ কিম পরিবার ছাড়া অন্য কেউ এই স্টেশন ব্যবহার করতে পারবে না। সম্ভবত ওই ট্রেনটি কিম জং উনের। কিন্তু বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় নি।