দুধে নয়, জল থেকেই এবার বের করা যাচ্ছে GOLD! বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বজুড়ে হৈহৈ কাণ্ড
রাজ্যে বিধানসভা ভোট! টানটান উত্তেজনা। আর সেই সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কার্যত সবাইকে অবাক করে চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন। তাঁর দাবি, গরুর দুধে নাকি সোনা পাওয়া যায়। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়।
রাজ্যে বিধানসভা ভোট! টানটান উত্তেজনা। আর সেই সময় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কার্যত সবাইকে অবাক করে চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন। তাঁর দাবি, গরুর দুধে নাকি সোনা পাওয়া যায়। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যের সমর্থনে বেশ কয়েকজন জানান, বিদেশের একদল বিজ্ঞানী নাকি গরুর দুধে সোনা পেয়েছেন। তবে গরুর দুধে সোনা আছে কিনা সেই বিষয়ে তর্ক চলতেই থাকবে। কিন্তু জানেন কি জলকে সোনাতে বদলে দেওয়া যায়! হয়তো আপনি চাঞ্চল্যকর এই দাবি বিশ্বাস নাও করতে পারেন।
কিন্তু এটাই সত্যি খবর। বিজ্ঞানের কাছে কোনও কিছু অসম্ভব নয়। প্রগতির বিশ্বে আজ সবটাই সম্ভব। অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের এক কেমিস্ট এমনই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন।
আর এর ফলে একফোটা জলকে মুহূর্তের মধ্যে চমকানো এক ধাতুতে পরিণত করে ফেলেছে।
জল নাকি ধাতুতে বদলে যাচ্ছে!
সাধারণভাবে কোনও দ্রব্যের উপর ভয়ঙ্কর ভাবে প্রেসার সৃষ্টি করলে ধাতুতে বদলে যাওয়ার হাজারো প্রমাণ রয়েছে। থাকা এটোম আর মলিকুল কাছাকাছি আসলে এর ইলেকট্রন শেয়ার হয়ে যায়। আর এর ফলে ইলেকট্রভিটি কন্ডাক্ট হতে পারে। তেমন ভাবে ১.৫ atmospheric প্রেশার জলের উপর দেওয়া যেতে পারে। যদিও এটি খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। তবে নতুন এক গবেষণাতে আরও সহজ পদ্ধতি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। গবেষক Pavel Jungwirth তাড় দীর্ঘ গবেষণাতে বেশ কিছু নতুন তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে। electron sharing-এর জন্যে Alkaline Metal-এর ব্যবহার করেছে।
আর এভাবে পরীক্ষা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে!
প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে Alkaline Metal সোডিয়াম-পটাসিয়ামের মতো রিয়েকটিভ উপাদান। তবে চ্যালঞ্জের বিষয় এটাই যে জলের কাছাকাছি আসলে অনেক সময়ে বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে। তবে এই বিষয়ে কাজটি এমন ভাবে করতে হবে তাতে রিয়েকশনও হয় কিন্তু কোনও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটবে না। একটা সিরিঞ্জে পটাসিয়াম এবং সোডিয়াম ভরা হয়। সম্মান্য তাপমাত্রাতে তা গরম করা হতে পারে। এরপর এটিকে ভ্যাকুম চেম্বারে রাখা হয়। এরপর সিরিঞ্জ থেকে ওই মিশ্রনের এক ফোটা নিয়ে খুব কম তাপমাত্রাতে ভাপ দিতে হবে। সেই ফোটার মধ্যে কিছু সেকেন্ডের মধ্যে জল হয়ে যাবে। মিশ্রনের ফোটা থেকে ইলেকট্রন জলের মধ্যে মিশে যাবে এবং কয়েক সেকেন্ডের জন্যে জল সোনার মতো হয়ে যাবে। কি অবাক হচ্ছেন নাকি! নাকি এমন কাণ্ড শুনে কিছুটা নিরাশ হলেন।
এখনই নিরাশ হবেন না!
তবে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। এটি একটি সোনার মতো দেখতে ধাতুকে তৈরি করবে। ফলে আগামিদিনে আরও এই বিষয়ে পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। তবে সোনা না হলেও সোনার মতো দেখতে এই উপাদান দিয়ে অন্য কিছু জিনিস তৈরি করা যেতে পারে। গবেষকরা বলছেন, সোনার থেকে এই উপদান অনেকটাই সস্তা হবে।