মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ২৭০ সংখ্যাটি কেন গুরুত্বপূর্ণ! আমেরিকার ভোট গণিত একনজরে
২০১৬ সালের ভোটে হিলারি ক্লিনটন ২.৯ মিলিয়ন মানুষের ভোট পেয়েছিলেন। তবুও মার্কিন তখতে তিনি বসতে পারেননি। এর নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন নির্বাচন ঘিরে একটি অনন্য অঙ্কের খেলা। ডোনাল্ড ট্রাম্প সেবার জিতেছিলেন কারণ তিনি মার্কিন সংবিধানের আই ইলেক্টোরাল কলেজ বেছে নিয়েছিলেন।
হোয়াইট হাউসের তখত জিততে একট মার্কিন প্রার্থীকে অন্তত ২৭০ টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হয়। আর এই ২৭০ এর অঙ্কই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫৩৮ অঙ্কের মধ্যে এটিই হচ্ছে সংখ্যাগুরুর মসনদ জয়ের রাস্তা। প্রসঙ্গত, মার্কিন নির্বাচনে প্রতিটি স্টেটের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোট থাকে। যেমন ক্যালিফোর্নিয়ার ৫৫ টি, টেক্সাসের ৩৮ টি, নিউইয়র্কের ২৯ টি। এভাবে বিচার করা হয়। ইলিয়নিয়স ও পেনসিলভেনিয়ার ২০ টি ইলেক্টোরাল ভোট,। প্রথম দশে থাকা স্টেটগুলর ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে রয়েছে ক্যারোলিনার ১৫, ওহিওর ১৮, মিশিগানের ১৬ টি ভোট।
সেবার এই ভোট জয়ের রাস্তা বিভিন্নভাবে খোলা ছিল ট্রাম্পের সামনে। ২০১৬ সালে তিনি ইলেক্টোরাল কলেজ থেকে নির্বাচিত হন। ইলেক্টোরাল কলেজ হল ৪৩৫ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, ১০০ সেনেটার,ওয়াশিংটন ডিসির ৩ জন ইলেক্টর নিয়ে তৈরি।আর সেই রাস্তা ধরে ২৭০ জয় করে ফেলেন তিনি। এই ৪৩৫ জন আমেরিকার মোট ৫৩৮ আসনের মধ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধি।
সেবার পেনসিলভেনিয়া ও ফ্লোরিডা তাঁকে জিতিয়েছিল। এবার পেনসিলভেনিয়াতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্য়া ঘিরে ট্রাম্পে বিরুদ্ধে হাওয়া গরম। বাইডেনপন্থীরা কৃষ্ণাঙ্গ দের সমর্থনে এসে ট্রাম্পের বিরোধিতা করছে। সেক্ষেত্রে নর্থ ক্যারোলিনা ও অ্যারিজোনা ট্রাম্পকে স্বস্তি দিতে পারে। তবে ২০১৬ সালে এই আসন তিনি কান ঘেসে জিতেছিলেন।