দলাই লামার উত্তরাধিকারী ইস্যুতে চিনকে টার্গেটে রেখে রণহুঙ্কার আমেরিকার! ২০২০ এর শেষে এসে ফের চড়ছে পারদ
দলাই লামার উত্তরাধিকারী ইস্যুতে চিনকে টার্গেটে রেখে রণহুঙ্কার আমেরিকার! ২০২০ এর শেষে এসে ফের চড়ছে পারদ
মাঝে ছিল মার্কিন নির্বাচন। তবে তার আগে বা পরে চিনকে নিয়ে আমেরিকার বিদেশনীতি যে কার্যত একই অবস্থানে রয়েছে, তা জানান দিচ্ছে আমেরিকা। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকার যে সংঘাতের মানসিকতা ছিল ২০২০ সালের শেষে এসেও সেই একই রূপ রয়েছে।
আমেরিকার নয়া আইন
এবার 'টিবেটান পলিসি অ্যান্ড সাপোর্ট অ্যাক্ট' ২০২০ পাশ করে মার্কিন কংগ্রেস কার্যত ফের চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে রাখল। সেই নয়া আইনে আমেরিকা জানান দিয়েছে। তিব্বতের মানুষের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে পরবর্তী দালাই লামাকে বেছে নেওয়ার । বর্তমানে তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামা নির্বাসনে ভারতের ধর্মশালায় রয়েছেন। আর তাঁকে ঘিরে ভারত-চিন দ্বন্দ্বও বহুদিনের। যা সাম্প্রতিক লাদাখ সংঘাতের মধ্যে তুঙ্গে ওঠে।
রণং দেহি মেজাজে আমেরিকা
মার্কিনি নয়া আইন দাবি করছে, পরবর্তী দলাই লামা কে হবেন, তা দলাই লামা সহ বাকি বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও তিব্বতের মানুষ বেছে নেবেন । পাশপাাশি আমেরিকার রণ হুঙ্কারও রয়েছে এই ইস্যুতে । আমেরিকা সাফ জানিয়েছে তিব্বতের মানুষের এই অধিকারে যদি কোনও চিনা সরকারী অধিকারিক নাক গলান, তাহলে তার ফল ভালো হবে না। আমেরিকা এক্ষেত্রে পাল্টা বিধির রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে বলেও দাবি করা হয়।
চিনের দাবি
এদিকে, চিনের দাবি, তাদের আভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ক্রমাগত নাক গলাচ্ছে আমেরিকা। এর আগে এই আই পাশের আগে আমেরিকাকে তা থেকে বিরত থাকতেও বলে চিন। যদিও তাতে কান পাতেনি আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসন।
সংঘাত কোথায়?
চিনের প্রশাসনের সঙ্গে দলাই লামার সংঘতারে পর ১৯৫৯ সাল অরুণাচলপ্রদেশের রাস্তা ধরে দলাই লামা ভারতে প্রবেশ করেন। তারপর থেকেই তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মকে রাষ্ট্রক্ষমতার মধ্যে আনতে চেষ্টা করতে থাকে চিন। তিব্বত নিয়ে বহু সংঘাতও হয় চিন ও আমেরিকার। আর সেই সংঘাতর রাস্তা ধরে গত ২ বছর ধরে চেষ্টার পর মার্কিন কংগ্রেস নয়া আই লাগু করল তিব্বত নিয়ে।
মেজাজটাই তো আসল রাজা, শুভেন্দু রাজা নয়! ভরা জনসভায় বোঝালেন দিলীপ