‘আমি সব থেকে কম বর্ণবিদ্বেষী’! রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে নিজের ঢাক নিজেই পেটালেন ট্রাম্প
শেষ প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট থেকেই বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে ফের মুখ খুললেন ট্রাম্প
দিন যত গড়াচ্ছে ততই চড়ছে মার্কিন নির্বাচনের পারদ। এর মাঝেই হাজার বিতর্ক পেরিয়ে বৃহষ্পতিবার রাতেই শেষ প্রেসিডেন্সিয়্যাল ডিবেটে ডেমোক্র্যাটিক পদপ্রার্থী জো বাইডেনের মুখোমুখি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এবারের একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গেল বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে মার্কিন রাজ্য-রাজনীতিতে।
শেষ প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটেও ট্রাম্পতে একহাত বাইডেনের
এদিকে গতকালের বিতর্কসভায় রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব' সম্পর্কেও ট্রাম্পকে একহাত নেন জো বাইডেন। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বাইডেনর সাফ জবাব, বিশ্বের ‘নামজাদা ঠগ' মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করাই ট্রাম্পের আসল স্বভাব। আর এই বক্তব্যের পরেই বাইডেনের বিরুদ্ধে কার্যত তেড়েফুঁড়ে আসতে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।
ভোটের আগে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নিজেই মাঠে নামলেন ট্রাম্প
এদিকে এরপরেই উল্টে এর পর নিজেরই পিঠ চাপড়ে ট্রাম্প বলেন, " সবার সাথেই আমার দুর্দান্ত সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি এই ঘরে সবচেয়ে কম বর্ণবিদ্বেষী কোনও ব্যক্তি যদি থেকে থাকে তবে সেটা আমি। এই প্রসঙ্গে এই ঘরে তাকা ব্যক্তিরা কে কি বলল আমি তাতে বিশেষ পাত্তা দিই না।" এদিকে বর্ণবিদ্বেষী বিরোধী আন্দোলনে গত কয়েকমাস ধরেই যখন ফুঁসছে আমেরিকা ঠিক তার ছাপ যে নির্বাচনী ময়দানে পড়বে তা বেশ বুঝতে পারছেন স্বয়ং ট্রাম্প। তাই ভোট পর্বের আগেই নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নিজেই মাঠে নেমে প়়েছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
আব্রাহাম লিঙ্কন ছাড়া কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য আর কেউই কিছু করেননি, দাবি ট্রাম্পের
যদিও এখানেই না থেমে ট্রাম্পের আরও দাবি কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য এতদিনে যদি কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট সব থেকে ভালো কাজ করে থাকেন তবে সেটা তিনিই। সমস্ত বিতর্ক উড়য়ে তার সাফ বক্তব্য, " "কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায় সকলেই আমাকে পছন্দ করে এবং আমি তাদের পছন্দ করি। আব্রাহাম লিঙ্কন ছাড়া তাদের জন্য ব্যতীত আর কেউ কিছু করেনি।"
জর্জ ফ্লয়েড হত্যার জেরেই বেকায়দায় ট্রাম্প
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কিছু মাস আগেই আমেরিকার মিনেসোটা রাজ্যের বড় শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে বেধরক মার খেয়ে মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড। বর্ণবিদ্বেষের কারণেই পুলিশের বিরুদ্ধে ফ্লয়েডকে শ্বাস রোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে আমেরিকার এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও সেই সময়ও প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে দেখা যায় টাম্প প্রশাসনকে। এমনকী আইন বদলেরও ডাক ওঠে গোট দেশজুড়ে। তার রেশ এখনও বর্তমান।
'ভারত, চিনের বায়ু খুব নোংরা', ফের চেনা সুরে বক্তব্য ট্রাম্পের
দুর্গাপুজোর
সমস্ত
খবর,
ছবি,
ভিডিও
দেখুন
এক
ক্লিকে