২০২০ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিততে বিদেশের সাহায্য নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, উঠল জোরাল অভিযোগ
ভোটে জিততে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গোপনে আলোচনা শুরু করেছেন ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেনকে চাপে ফেলতেই এইবার্তালাপ বলে সূত্রের খবর।
সামনেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাঁর আগে মোদী তুষ্টি করে প্রবাসী ভারতীয়দের ভোট ব্যাঙ্কের সিংহভাগটাই দখল করে নিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে আবার ভোটে জিততে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গোপনে আলোচনা শুরু করেছেন ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাট নেতা জো বিডেনকে চাপে ফেলতেই এই বার্তালাপ বলে সূত্রের খবর। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির এই ফোনাফোনি ফাঁস করে ফেলেছেন হোয়াইট হাউসেরই এক আধিকারিক।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচন প্রভাবিত করার জন্য বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের সহযোগিতা চাওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এই নিয়ে হোয়াইট আউসের অন্দরে তোলপাড় চলছে। আধিকারিকরা এই ফোনালাপ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। এরই মধ্যে আবার এই নিয়ে ট্রাম্পকে ইম্পিচ করার দাবি উঠতে শুরু করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উইক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই ফোনে আলোচনা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য দফতরের অপব্যবহার করেছেন। এমনকী দফতরের আধিকারিকদের নানা ভাবে অপমানিত করেছেন ট্রাম্প।
এই ঘটনা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণকারী ব্যক্তি জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের একাধিক উচ্চ পদস্থ আধিকারিককে এই টেলিফোনিক বার্তালাপ ধামাচাপা দেওয়ার কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যাতে কেউ এই কথপকথন জানতে না পারেন সেকারণে বার্তালাপের প্রতিলিপি লোপাট করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুরোটা গোপন রাখতে হোয়াইট হাউস থেকে সব ট্রান্সক্রিপ যন্ত্র সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।
সূত্রের খবর ট্রাম্প নাকি বারবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট নেতা জো বিডেন এবং তাঁর ছেলে হান্টার বিডেনের বিরুদ্ধ তদন্তে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই খবর ফাঁস হতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্টের দাবি উঠেছে। হিলারি ক্লিন্টনের গত নির্বাচনে এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন।