ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন ঋষি সুনক, বিপাকে বরিস জনসন
যুক্তরাজ্য ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ঋষি সুনক। একই সঙ্গে এদিন স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদও তাঁর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এর ফলে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যথেষ্ট বেকায়দায় পড়লেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার এক সদস্যের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। যার প্রেক্ষিতেই তাঁর মন্ত্রিসভায় এই ভাঙন বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী জনসনকে লিখেছেন, তাঁর পক্ষে এভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে আপনার নেতৃত্বে পরিস্থিতির বদল হবে না। যার ফলে আপনি আমার আস্থা হারিয়েছেন। সাজিদের আরও দাবি, মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও এবং জনগণ বরিস জনসনের সরকার পরিচালনার উপর আস্থা হারিয়েছেন।
I have spoken to the Prime Minister to tender my resignation as Secretary of State for Health & Social Care.
— Sajid Javid (@sajidjavid) July 5, 2022
It has been an enormous privilege to serve in this role, but I regret that I can no longer continue in good conscience. pic.twitter.com/d5RBFGPqXp
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে লেখা চিঠিতে ঋষি শুনক জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে তাঁর পদত্যাগ করাটাকে তিনি কোনওভাবেই কম গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন না। তবে একইসঙ্গে তাঁর মনে হয়েছে, জনগণ আশা করে তাদের সরকার সঠিকভাবে এবং গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবে। অর্থাৎ তিনিও ঘুরিয়ে জনরোষের কারণ হিসেবে বরিস জনসনের সরকার চালানোর ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন।
The public rightly expect government to be conducted properly, competently and seriously.
— Rishi Sunak (@RishiSunak) July 5, 2022
I recognise this may be my last ministerial job, but I believe these standards are worth fighting for and that is why I am resigning.
My letter to the Prime Minister below. pic.twitter.com/vZ1APB1ik1
সুনকের দাবি, সরকারে থেকে কাজ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী হিসাবে জনসনের সঙ্গে মতপার্থক্য হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে সুনকের বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটিও হয়েছে বলেও শোনা গিয়েছে। এদিন ঋষি তাঁর বক্তব্যের মধ্যেও সেই দূরত্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর কথায়, যেকোনও বিষয়ের প্রতি আমাদের মনোভাব মৌলিকগতভাবে আলাদা। এক্ষেত্রে তিনি অর্থ মন্ত্রকের পরিচালনা কথাই বোঝাতে চেয়েছেন। এরকম অবস্থায় বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের নিয়ে কীভাবে জনসন সব ঝক্কি সামলে সরকার টিকিয়ে রাখেন সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।