For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

নতুন সড়ক আইনের প্রতিবাদে পালিত ধর্মঘটকে যে কারণে 'কর্মবিরতি' বলছেন পরিবহন শ্রমিকেরা

সড়ক আইনের প্রতিবাদে পালিত ধর্মঘটকে আইনি জটিলতা এড়াতে 'কর্মবিরতি' বলে অভিহিত করছেন পরিবহণ শ্রমিকেরা। কিন্তু যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আরেক আইন ভাঙছেন তারা।

  • By Bbc Bengali

পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে যাত্রী ভোগান্তি চরমে
Getty Images
পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে যাত্রী ভোগান্তি চরমে

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় পরিবহন শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য আকস্মিকভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়।

কখনো তারা ধর্মঘটের ডাক দেয়, আবারো কখনো ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সেটিকে 'কর্মবিরতি' হিসেবে বর্ণনা করেন।

নতুন সরকার পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে গত দুইদিন ধরে পরিবহন শ্রমিকরা যা করছে সেটিকে তারা 'কর্মবিরতি' হিসেবে বর্ণনা করছেন।

শ্রম আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 'কর্মবিরতি' শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবহন শ্রমিকরা দেখাতে চাইছেন যে বিষয়টিতে সংগঠনের কোন দায় নেই। এটা শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করছে বলে তারা দেখাচ্ছেন।

শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উত্তম কুমার দাশ বলেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী 'ধর্মঘটের' বিষয়টি মালিক-পক্ষ এবং শ্রমিক-পক্ষের বিষয়। কিন্তু পরিবহন খাতে উভয় পক্ষের স্বার্থ এক হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এখানে শ্রমিকদের দাবি সরকারের কাছে। সেজন্য তারা 'ধর্মঘটের' পরিবর্তে 'কর্মবিরতি' শব্দটি ব্যবহার করছে।

"আইন নিয়ে তাদের যদি কোন ক্ষোভ থাকে, তাহলে বিষয়টি তারা আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। কিন্তু কোনভাবেই জনজীবন বিপর্যস্ত করে কর্মবিরতিতে যেতে পারে না," বলছিলেন আইনজীবী মি: দাশ।

তাছাড়া বাস-ট্রাক শ্রমিকরা যেভাবে বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে সেটি দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য বলে উল্লেখ করেন বিশ্লেষকরা।

ধর্মঘট নিয়ে আইন কী বলছে?

কোন শ্রমিক সংগঠন যদি ধর্মঘট পালন করতে চায়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাদের কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই নিয়ম মেনে চলতে হয় শ্রমিক সংগঠনগুলোকে।

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ধর্মঘট ডাকতে পারে স্বীকৃত শ্রমিক সংগঠন। তাদের যদি কোন দাবি থাকে তাহলে তাহলে বিষয়টি নিয়ে প্রথমে আলোচনা করতে হবে মালিক পক্ষের সাথে। মালিক-পক্ষ বিষয়টি সুরাহা না করলে তখন তারা বিষয়টি নিয়ে যাবে শ্রম অধিদপ্তরে। সেখানে মালিক এবং শ্রমিক - উভয়পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে মধ্যস্থতার চেষ্টা করা হবে।

যদি শ্রম অধিদপ্তরের মধ্যস্থতায় যদি মালিক এবং শ্রমিক-পক্ষ একমত না হয় তখন আইন অনুযায়ী দুটো রাস্তা খোলা থাকে।

আইনজীবী মি: দাশ বলেন, বিষয়টি নিয়ে শ্রমিক-পক্ষ তখন আদালতে যেতে পারে কিংবা তারা ধর্মঘট পালন করতে পারে। কিন্তু চাইলেই তারা আকস্মিকভাবে ধর্মঘটে যেতে পারে না।

"ধর্মঘট পালন করতে হলে শ্রমিক সংগঠনকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের মতামত নিতে হবে। দুই-তৃতীয়াংশ শ্রমিক যদি ধর্মঘটের ডাক দেয় তাহলে আইন অনুযায়ী ৭ থেকে ১৪ দিনের নোটিশ দিয়ে ধর্মঘট পালন করতে পারে," বলছিলেন মি: দাশ।

এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শ্রমিকরা বলছেন, তারা কোন বেআইনি কাজ করছেন না।

বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম বলেন, চলমান কর্মবিরতিতে দেশের কোন আইন ভঙ্গ হয়নি।

তিনি বলেন, "মালিকরা গাড়ি দিচ্ছেনা, শ্রমিকরাও কাজে যাচ্ছে না। এখানে আগে থেকে নোটিস দেবার কিছু নেই।"

তিনি দাবি করেন দেশের কোথাও পরিবহন শ্রমিকরা যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেনা।

আরো খবর:

লবণ নিয়ে গুজব: মন্ত্রণালয় বলছে কোন ঘাটতি নেই

নারীদের ইউরিন ইনফেকশন হয় যে কারণে

ফুটবল: টটেনহ্যাম কোচের দায়িত্ব পেলেন জোসে মরিনিয়ো

ব্রিটিশ বাহিনী কি আফগান শিশুদের হত্যা করেছিল?

English summary
Transport workers call the strike in protest against new road law
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X