১০০ সন্তানের পিতা হতে চান পাকিস্তানের এরা, জানুন এদের পরিচয়
পাকিস্তানের এই তিন বাবার গল্প এখন ভাইরাল ইন্টারনেটে। জনসংখ্যার হারে পাকিস্তানের অবস্থান বিশ্বের শীর্ষদেশগুলির মধ্যে যথেষ্টই উপরের দিকে।
জান মহম্মদ। পাকিস্তানের বালোচিস্তানের কোয়েটার এই বাসিন্দার বর্তমানে সন্তানের সংখ্যা ৩৮। এই মূহুর্তে তার ৩ স্ত্রী থাকলেও, চতুর্থজনের খোঁজে রেয়েছেন জান মহম্মদ। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সন্তানের সংখ্য়া ১০০-য় নিয়ে যাওয়া।
জান মহম্মদ একা নন। তিনি একটা চরিত্র মাত্র। আদিবাসী অধ্যুষিত উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের বান্নু শহরের গুলজার খান। সাতান্ন বছর বয়স। তিন স্ত্রীর সন্তানের সংখ্যা ৩৬। সঙ্গে সঙ্গে তৃতীয় স্ত্রী বর্তমানে সন্তান সম্ভাবা বলেও জানিয়েছেন গুলজার। তাকে ঘিরে থাকা ২৩ সন্তানের মধ্যে থেকেই তিনি বলছেন, তারা আরও শক্তিশালী হতে চান। ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে তাদের কোনও বন্ধু লাগবে না বলেও গর্বের সঙ্গে জানিয়েছেন তিনি।
গুলজার খানের ভাই মাস্তান খান ওয়াজিরের সন্তানের সংখ্য়া ২২। তাঁরও স্ত্রীর সংখ্য়া তিন। তবে তার নাতি-নাতনির সংখ্যাও অগণিত। তিনি বলছেন, আল্লা আশ্বাস দিয়েছেন তিনিই খাবার যোগাবেন। কিন্তু অধিকাংশই মানুষই ভরসা নেই তাতে।
পাকিস্তানে বহুগামীতা রয়েছে। আর জান মহম্মদ কিংবা গুলজার খানের মতো রয়েছেন অনেকেই। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানে শেষ বারের মতো জনগণনা হয়েছিল। লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লক্ষ। প্রায় ১৯ বছর পর এই বছরের শুরুতে পাকিস্তানে জনগণনা শুরু হয়েছে। জুলাই মাসেই তার ফল হাতে আসার কথা থাকলেও, গণনাকারীরা প্রাথমিকভাবে বলছেন পাকিস্তানের জনসংখ্যা এই মুহুর্তে ২০ কোটির কাছাকাছি।
গতমাসেই পাকিস্তান উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। কিন্ত জনসংখ্য়ার বৃদ্ধির অনুপাতে তা নগন্য। জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও। প্রায় ছয়কোটি মানুষ রয়েছেন দারিদ্রসীমার নিচে। রাষ্ট্রসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের পাকিস্তানের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেবা সাথার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কিছুটা কমলেও, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তা সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন তিনি।