সেনা সংঘর্ষের হাত ধরে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে যুদ্ধের সম্ভাবনা, তিব্বত মালভূমিতে সামরিক মহড়া লাল ফৌজের
সেনা সংঘর্ষের হাত ধরে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে যুদ্ধ সম্ভাবনা, তিব্বত মালভূমিতে সামরিক মহড়া লালফৌজের
ক্রমেই রণদামামা আরও তীব্র হচ্ছে লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর। মে মাসের গোরা থেকেই গালওয়ান উপত্যকায় দুই ভারত ও চিনা সেনাদের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছিল উত্তেজনার পারদ। সোমবার রাতে দুই শিবিরের হাতাহাতির পর তাতে নতুন করে ঘৃতাহুতি পড়ে। ভারতের সেনার ২০ জন জওয়ান নিহত হন, চিনের ৩৫।
তিব্বত মালভূমিতে সামরিক মহড়া লালফৌজের
এমতাবস্থায় ক্রমেই আরও তীব্র হচ্ছে চিন ভারত যুদ্ধের সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার একাংশে চিনা ভূখণ্ডে অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্রশস্ত্র এনে মজুত করেছে লালফৌজ। পাশাপাশি একাধিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে পূর্ব তিব্বত মালভূমিতে সামরিক মহড়াও চালায় পিপলস লিবারেশন আর্মির সেনা জওয়ানেরা। সূ্ত্রের খবর, ৪৭০০ মিটার উঁচু মালভূমিতে ৭০০০ সেনার একটি বিগ্রেড নিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ঝালাইয়ের কাজ সারছে পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। পিএলএ সূত্রে খবর, এই মহড়ায় আর্টিলারি, মিসাইল, বিমান, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম, ট্যাঙ্ক এবং শত্রুকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন প্রকার অত্যাধুনিক ড্রোনের ব্যবহার করা হচ্ছে।
চিনের সামরিক মহড়ায় স্নায়ুর চাপ বাড়ছে ভারতের উপর
তবে কবে থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মির তিব্বত সামরিক অঞ্চলের এই মহড়া শুরু হয়েছে সেই বিষয়ে চিন সূত্রে স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। তবে সোমবার দুই দেশের সেনা সংঘর্ষ ও জওয়ানদের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই এমনিই উত্তেজনার পারদ চরছিল সেখানে তিব্বত সামরিক অঞ্চলে লালফৌজের এই বিশেষ যুদ্ধ মহড়া ভারতের উপর স্নায়ুর চাপ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আসল সমস্যার সূত্রপাত কোথায় ?
সূত্রের খবর, ২০১৭ ডোকলাম সঙ্কটের সময় থেকেই লালফৌজের এই তিব্বতি শাখার উপর বিশেষ ভাবে জোর দেয় পিপলস লিবারেশন আর্মি। বর্তমানে সেনা ব্রিগেডের হাত ধরেই যুদ্ধ প্রস্তুতি সেরে রাখছে চিন। বর্তমানে আকসাই চিন এলাকা থেকে লাদাখ ঘিরে বয়ে চলা প্রাচীন গালওয়ান নদী উপত্যকা অঞ্চলই ভারত ও চিনের চলতি সংঘাতের কারণ হয়ে উঠেছে। চিন ওই ভূখণ্ডকে অনৈতিক ভাবে নিজেদের বলে দাবি করছে। এখানেই গত ৫ই মে থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই দেশের সেনা জওয়ানেরা।
গালওয়ানের সংঘর্ষ স্থল থেকে ১ হাজার কিমি দূরে শক্তি প্রদর্শন
এদিকে আকসাই চিন অঞ্চলটি জিনজিয়াং সামরিক বেষ্টনী দ্বারা সুরক্ষিত। একইসাথে এটি পিএলএর পশ্চিম থিয়েটার কমান্ডের অংশ। এদিকে এর কিছু দূরেই তিব্বতের কাছে রয়েছে ভারতের সীমাবেষ্টনি। সূত্রের বর্তমানে সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় যেখানে সেনা সংঘর্ষ হয় সেখান থেকে ১০০০ কিমি দূরে পূর্ব তিব্বতের নিয়েনচেন তংলা পাহাড়ের কাছেই সাম্প্রতিক সময়ে তার সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে চিন।
লাদাখে সেনা জওয়ানদের ত্যাগ ও বলিদানের কথা স্মরণ! বীরত্ব জাতির স্মৃতিতে আবদ্ধ থাকবে, বললেন রাষ্ট্রপতি