পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শাহবাজের যাত্রাপথ সহজ ছিল না
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর শাহবাজের যাত্রাপথ সহজ ছিল না
পাক সাংসদে অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গিয়েছেন ইমরান খান। অন্যান্য পাক প্রধানমন্ত্রীর মতোই ইমরানকেও পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই সরে যেতে হচ্ছে। সূত্রের খবর, ইমরানের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন সেদেশের বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ। যিনি কিনা আবার সম্পর্কে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই।
বিগত ক'দিন ধরেই রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে পাকিস্তানে। প্রথমে কথা ছিল, বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনবেন ইমরানের বিরুদ্ধে। কিন্তু গত রবিবার সংবিধানের পাঁচ নং ধারার অছিলায় অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেন পাক সাংসদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। এরপরই এই ইস্যুতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্ট অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে রায় দিলে তাতে হেরে যান ইমরান।
সোমবার পাক সাংসদে গণ পদত্যাগ করেছেন বিদায়ী শাসকদল পিটিআই সদস্যরা। সাংসদদের ভোটে প্রধানমন্ত্রীত্ব পাচ্ছেন শাহবাজ শরিফই। ২০১৮ সালের অগাস্ট মাস থেকে দেশের বিরোধী দলনেতা তিনি। তবে শুধুই বিরোধী দলনেতা বললে কম বলা হবে। পঞ্জাবে মোট তিনবার ভোট জিতে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব সামলেছেন শাহবাজ। পাকিস্তান মুসলিম লিগের সভাপতি তিনি৷ শাহবাজ প্রথমবার পাঞ্জাবের রাজ্য নির্বাচনে জেতেন ১৯৮৮ সালে। এরপর ১৯৯৩ সালেও জয় পেয়েছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ফের জেতেন নির্বাচনে। সেবার মুখ্যমন্ত্রীও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি৷
১৯৯৯ সালে পাক সেনা সরকার ফেলে দেওয়ার পর আচমকাই পরিবার সমেত উধাও হয়ে যান তিনি। শোনা যায়, পরিবার নিয়ে সৌদি আরবে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে নিজের দেশে ফেরেন তিনি। ২০০৮ সালে তাঁর দল ফের পঞ্জাব নির্বাচন জেতে। শাহবাজ ফের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৩ সালে ফের পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শাহবাজ৷ জানা যাচ্ছে, এহেন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদই এবার হাল ধরবেন পাকিস্তানের।