৯৩ বছরের বৃদ্ধ ফিরে এলেন মৃত্যুর মুখ থেকে, শুশ্রুষা করা নার্স আক্রান্ত করোনায়
৯৩ বছরের বৃদ্ধ ফিরে এলেন মৃত্যুর মুখ থেকে, শুশ্রুষা করা নার্স আক্রান্ত করোনায়
করোনার থাবায় দেশের বাকি রাজ্য গুলির থেকে সবথেকে করুণ অবস্থা কেরালার। কিন্তু সোমবার সকালের একটা খবরে একপ্রকার খুশির রেশ দেখতে পাওয়া চিকিত্সক মহলে। বিগত কয়েকদিন থেকেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ৯৩ বছরের থমাস ও ৮৮ বছরের মারিয়াম।
করোনা পরীক্ষার সময় হার্ট অ্যাটাকও হয় বৃদ্ধের
শারীরিক সমস্যা বাড়লে কয়েকদিন আগেই ওই বৃদ্ধ থমাসকে পাথনামথিত্তা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনেকেরই সন্দেহ ছিল তার শরীরেও থাবা বসিয়েছে করোনা। দ্রুত করা হয় ডাক্তারি পরীক্ষা। কিন্তু তাতে তাদের শরীরে করোনার উপস্থিতি না পাওয়া গেলে সোমবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময়েই ওই প্রৌঢ়ের হার্ট অ্যাটাকও হয়। একইসাথে তার শরীরে একাধিক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত একাধিক রোগের উপসর্গ দেখা যায়। কিন্তু অবশেষে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে যেভাবে বৃদ্ধ সুস্থ দীবনে ফিরে এলেন তা অবাক করছে চিকিত্সকদের।
ইতালি ফেরত ছেলের থেকেই সংক্রমণের আশঙ্কা করা হয়
অন্যদিকে যে নার্স তার সেবা শ্রুশ্রুষার দায়িত্বে ছিলেন তারও ইতিমধ্যে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। যদিও শারিরীক সমস্যা দেখা দেওয়ার পরেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাদের পরিবারের পরিবারের পাঁচ সদস্যকে। সোমবার তার ছেলে, স্ত্রী পুত্রবধূ, নাতি এবং আরও দুই আত্মীয়কেও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধের ছেলে ২৯শে ফেব্রুয়ারী ইতালি থেকে পাথনামথিত্তায় আইথলায় তাদের নিজস্ব বাড়িতে ফেরেন। তারপরেই সন্দেহ করা হয় তাদের ছেলের থেকেই সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা।
নার্সের সংক্রমণ নিয়ে চিন্তায় চিকিত্সকেরা
পাঠানমথিতায় আইথলায় পারিবারিক বাড়িতে এসেছিল এবং এই দম্পতির কাছে ভাইরাস ভাইরাসে চলে গেছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতের বৃদ্ধ থমাস ও তাঁর স্ত্রী মারিয়ামের ডাক্তারি পরীক্ষায় করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু তাদের চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা নার্সের শরীরে কী ভাবে করোনা থাবা বসালো তা ইতিমধ্যেই চিন্তায় ফেলেছে চিকিত্সকদের।