পাকিস্তানে থেকেই নতুন করে ভারতে হামলার ছক কষছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি, দাবি মার্কিন রিপোর্টে
পাকিস্তানে থেকেই নতুন করে ভারতে হামলার ছক কষছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি, দাবি মার্কিন রিপোর্টে
বিন্দুমাত্র চেতনা হয়নি পাকিস্তানের। স্বাধীনতার পর থেকেই ইসলামাবাদের মূল উদ্দেশ্য ভারত বিরোধিতা। মুখে যতই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগুক না কেন, দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদকে ভরপুর মদতও দেয় তারা। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্টেও উঠে এল এই তথ্য।
পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই!
ভারত বিরোধিতায় বুঁদ পাকিস্তান। সাম্প্রতিককালে বহুবার সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুখে শান্তি, মৈত্রীর বুলি শোনা গেলেও বাস্তবে তা মোটেই নয়। এখনও জঙ্গিগোষ্ঠীদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করছে ইসলামাবাদ। মার্কিন রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি পাকিস্তানে যথেষ্ট সক্রিয়। সবকিছু জানা সত্ত্বেও কোনওরুপ ব্যবস্থা নেয়নি ইসলামাবাদ। জইশ ই মহম্মদ প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহার থেকে শুরু করে ২০০৮ মুম্বই হামলার প্রোজেক্ট ম্যানেজার সাজিদ মীর। এঁরা প্রত্যেকেই খোলা আকাশের নীচে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে এই রিপোর্ট পেশ করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আরও কী বলছে রিপোর্ট?
রিপোর্টে আরও বলা হয়, ' আফগানি তালিবান ও তাদের হক্কানি নেটওয়ার্ক সহ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গিগোষ্ঠী, লস্কর ই তৈবা ও তাদের শাখা জইশ ই মহম্মদ সহ ভারত বিরোধী জঙ্গিগোষ্ঠী পাকিস্তান থেকেই কলকাঠি নাড়ছে। সবকিছু জানা সত্ত্বেও পাক সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী মাসুদ আজহার, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার প্রোজেক্ট ম্যানেজার সাজিদ মীর, প্রত্যেকেই খোলা আকাশের নিচে ঘুরে বেড়িয়েছে।'
FATF তালিকায় ধূসর পাকিস্তান!
ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বর মাসে লাহোরের সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালতের রায়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সেই রিপোর্টে৷ বলা হয়েছে, লাহোরের আদালত লস্কর ই তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সঈদকে সন্ত্রাসবাদে মদতের জেরে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই মর্মে তাকে পাঁচ বছর ছ'মাসের জেল হেফাজতের সাজাও দিয়েছে আদালত। ২০২০ সালে ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশক্ন টাস্কে পাকিস্তানের প্রগতির কথাও লেখা রয়েছে রিপোর্টে৷ পাকিস্তান একাধিক কাজ সম্পূর্ণভাবে করলেও বহু কাজ এখনও বাকি। তাই এখনও এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকাতেই নাম থাকছে তাদের।