আচমকাই ভারত সীমান্তের কাছে জিনপিং
আচমকাই ভারত সীমান্তের কাছে জিনপিং
কাকপক্ষীও টের পায়নি, আচমকাই তিব্বত সফরে এলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার সকালেই চীনের সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করে৷ তারা জানায়, বুধবারই অরুণাচল প্রদেশে ভারত-চীন সীমান্তের কাছে সফরে এসেছিলেন রাষ্ট্রনায়ক।
ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাপেক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিব্বতের এই অঞ্চলটি। শেষবার ১৯৯০ সালে চীনের কোনও রাষ্ট্রপতি এই অঞ্চলে এসেছিলেন। জিনপিং এর আগে দেশের এই অংশে এলেও চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এখানে আসা তাঁর এই প্রথম।
চীনা সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার তিব্বতের নিংচি বিমানবন্দরে নামেন জিনপিং। বৃহস্পতিবার সটান চলে যান তিব্বতের রাজধানী লাসায়। জিনপিংয়ের এই সফর সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করেছে সেদেশের সংবাদমাধ্যম। তাতে দেখা গেছে, নিংচি বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় বাসিন্দারা হাত নেড়ে অভ্যর্থনা জানান তাঁদের নেতাকে। মানুষের ভালোবাসা কুড়োতে কুড়োতে পালটা হাত নাড়েন জিনপিংও। এরপরই ন্যাং নদীর ওপরে নির্মীয়মান সেতু পরিদর্শন করেন তিনি৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বত সমস্যা এখনও কপালে ভাঁজ ফেলে শি জিনপিংয়ের৷ কাজেই তিব্বতকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তুলে ধরতেই আচমকা এই সফরে আসেন জিনপিং। তবে শুধু তিব্বত সমস্যা নয়৷ পাশাপাশি ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা এবং তিব্বত-অরুণাচল সীমান্তে ভারতের রণনীতি পরিবর্তনের পর তিব্বতে এসে ভারতকেও বার্তা দিতে চাইলেন চিনের রাষ্ট্রপ্রধান৷ এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।