
আজাদির দাবিতে গোটা পাকিস্তানে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ মিছিল
পাকিস্তানের স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটির নেতৃত্বে শুক্রবার স্টুডেন্ট সলিডারিটি মার্চে যোগ দিল দেশের পড়ুয়া, আন্দোলনকারী ও অন্যান্য সমর্থকরা। ছাত্র পরিষদ পুনরুদ্ধার সহ তাঁদের দাবি স্বাধীনতা। প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্ট কালেকটিভ ( পিএসসি) একগুচ্ছ টুইটের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের ৫০ টি শহরের কোথায় কোথায় এই আন্দোলন হবে তা জানিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে কোনও কোনও জায়গায় আন্দোলন শুরু হয়ে যায় আবার কিছু জায়গায় আন্দোলন দুপুরে শুরু হয়।

জানা গিয়েছে, দেশের বিশিষ্ট নাগরিক মহম্মদ হানিফ ও জীবরন নাসির সহ পড়ুয়া, অভিভাবক, আইনজীবীদের এই যাত্রা বিকেলের দিকে করাচিতে আসবে। এখানকার রিগাল চৌকে জড়ো হয়ে এই যাত্রাটি ফের অট্রিয়াম মলের দিকে এগোবে, লক্ষ্য তাঁদের করাচি প্রেস ক্লাব। অট্রিয়াম মলের বিপরীতে ফতিমা জিন্নাহ রোডে যখন বিক্ষোভ শুরু হয়, সব দোকানদাররা দোকান বন্ধ করে দেয়।
বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন, 'হাম ক্যা চাহাতে? আজাদি (আমাদের কি চাই? স্বাধীনতা)’। জীবরন নাসির সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, 'আমি আমার দেশের ভবিষ্যত পড়ুয়াদের সমর্থন করতে এসেছি, এঁরাই আমাদের দেশের ভবিষ্যত। আমাদের অবশ্যই এটা বুঝতে হবে যে আমরা যদি অতীতের স্মৃতিস্তম্ভগুলিকে আলোকিত না করি তবে আমাদের ভবিষ্যত কখনই উজ্জ্বল হবে না। দেশের নতুন ও আসল নেতৃত্বের উত্থান আবপাড়া বা পিণ্ডি অতিক্রম করে না, তাঁরা কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উঠে আসে।’
বালোচিস্তান থেকেও পড়ুয়ারা এই বিক্ষোভ যাত্রায় অংশ নিয়ে দাবি জানান যে পড়ুয়াদের হেনস্থা করার অভিযোগে বালোচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে গ্রেফতার করা হোক। গিলগিট–বালতিস্তানের পড়ুয়ারাও এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। এই প্রদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুবিধা নেই জানিয়ে প্রতিবাদ করেন পড়ুয়ারা। লাহোরে বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার দুপুরে নাসির বাগ এলাকায় জড়ো হন এবং পাঞ্জাব বিধানসভার দিকে এগিয়ে যান। পেশোয়ারের পড়ুয়া ও সমাজের বিশিষ্ট সদস্যরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করেন পেশোয়ার প্রেস ক্লাব থেকে। যা পাখতুনখাওয়া বিধানসভায় গিয়ে শেষ হয়। এর আগে পিএসসি এবং পাকিস্তানের অন্য সংগঠন মিলিত হয়ে জাতীয় স্তরের স্যাক কমিটি গঠন করে। যারা ছাত্র ইউনিয়নের পুনরুদ্ধার সহ অন্যান্য দাবি নিয়ে সরব হয়। এই স্যাকে সিন্ধু, বালোচিস্তান, গিলগিট–বালতিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া, পাক অধিকৃত জম্মু–কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশের পড়ুয়াদের প্রতিনিধিরা সামিল রয়েছেন।