রয়েছে পৃথিবীর থেকেও মনোরম পরিবেশ! ২৪টি নতুন বসবাসযোগ্য গ্রহের খোঁজ বিজ্ঞানীদের
রয়েছে পৃথিবীর থেকেও মনোরম পরিবেশ! ২৪টি নতুন বসবাসযোগ্য গ্রহের খোঁজ বিজ্ঞানীদের
করোনা ভাইরাস হোক বা প্রাকৃতিক দূষণের ঘনঘটা, গোটা পৃথিবীই যেন ক্রমেই হয়ে উঠছে বসবাসের অযোগ্য! সঙ্গে আছে বিশ্ব উষ্ণায়নের চোখরাঙানি। বিকল্প হিসেবে চন্দ্র ও মঙ্গলে বসতি স্থাপনের দিকে আগেই পা বাড়িয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি একদল মহাকাশ বিজ্ঞানী খোঁজ দিলেন এমনই প্রায় ২৪টি গ্রহ। যেখানকার আবহাওয়া নাকি বসবাসের জন্য পৃথিবীর চেয়েও অধিক অনুকূল!
কোন কোন মাপকাঠি মেনে পাওয়া গেল এই বিরল গ্রহের খোঁজ?
ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডির্ক শুলজে-মাকুচের তত্ত্বাবধানে একদল গবেষক পৃথিবীর থেকে অধিক পুরোনো, একটু বেশি উষ্ণ এবং অধিক ভরবিশিষ্ট গ্রহের খোঁজ করেন। সূত্র বলছে, সম্ভাব্য "সুপারহ্যাবিটেবল" (superhabitable) গ্রহগুলির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিশদে বর্ণণা করা হয়েছে অ্যাস্ট্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে। প্রায় ৪,৫০০ গ্রহের মধ্যে এই ২৪টি গ্রহকে বেছে নেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহগুলির তলদেশ অনেকটাই স্যাঁতস্যাঁতে বলেও জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না সে বিষয়ে আরও বিশদ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পৃথিবী থেকে প্রায় ১০০ আলোকবর্ষ দূরেই অবস্থান করছে এই গ্রহগুলি
গ্রহগুলির ব্যাপারে বলতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সৌরজগতের বাইরে অর্থাৎ পৃথিবী থেকে প্রায় ১০০ আলোকবর্ষ দূরে এই গ্রহগুলি বিরাজ করছে। গবেষণাপত্র অনুযায়ী, ওই গ্রহগুলির কক্ষপথ যে নক্ষত্রগুলিকে আবর্তন করে রয়েছে, সেগুলি আমাদের সূর্যের থেকেও বেশিদিন স্থায়ী হবে। বিজ্ঞানীদের আশা, ওই গ্রহগুলি জীবনধারণের জন্য অধিক উপযুক্ত কারণ তারা নিজ কক্ষপথের কেন্দ্রে থাকা নক্ষত্রগুলিকে পৃথিবীর থেকে কম গতিতে প্রদক্ষিণ করে।
সূর্যের থেকে দীর্ঘস্থায়ী নক্ষত্র মণ্ডলীকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে গ্রহের দল
মহাকাশ গবেষকদল জানাচ্ছেন, যে নক্ষত্র মন্ডলীকে কেন্দ্র করে ওই গ্রহগুলি আবর্তিত হচ্ছে সেগুলি জি বা কে বিভাগের অন্তর্গত। জি-স্টারের জীবনকাল ১,০০০ কোটি বছরের কম এবং কে-স্টারগুলি প্রায় বামন নক্ষত্রের পর্যায়ে পড়ে যাদের জীবনকাল ২,০০০ থেকে ৭,০০০ কোটি পর্যন্ত হতে পারে। যদিও পরবর্তীতে স্পেস টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত চিত্রের মাধ্যমে এই বিষয়ে আরও বিশদ তথ্য পাওয়া সম্ভব বলে জানান বার্লিনের ডাব্লুএসইউ এবং টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শুলজে মাকুচে।
'জীবন্ত গ্রহ' খুঁজতেও বিশেষ সহায়ক হতে পারে এই নয়া গবেষনা
এদিক মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, ২৪টির মধ্যে মাত্র একটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এই গবেষণা ভবিষ্যতে 'জীবন্ত গ্রহ' খোঁজার প্রচেষ্টায় বড়মাত্রায় সহায়তা করবে বলেও মত তাদের। আগামীতে নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ, লুভিওর স্পেস অবজারভেটরি এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার প্লেটো স্পেস টেলিস্কোপের গবেষণাতেই এই নয়া রিসার্চ বিশেষ সহায়তা করতে পারে বলেও মনে করছেন অনেক মহাকাশবিজ্ঞানীই।
করোনা প্রভাব কাটিয়ে যুবভারতীতে বল গড়ানো দিয়ে ভারতীয় ফুটবলে ঢাকে কাঠি,ম্যাচের ফল জানুন