ভারত গঠনে নেহেরু'র অবদান তুলে প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর! বিস্তারিত সত্যিই আশ্চর্য করবে
সংসদে বিতর্ক চলাকালীন সিঙ্গাপুর প্রধানমন্ত্রী লী সিন লুং জওহরলাল নেহেরুর প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন। একই সঙ্গে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তিনি। দেশে কীভাবে গণতন্ত্র বজায় রাখতে হয় সে বিষয়ে সম্প্রতি বক্তব্য রাখছিলেন সে দেশের প্রধা
সংসদে বিতর্ক চলাকালীন সিঙ্গাপুর প্রধানমন্ত্রী লী সিন লুং জওহরলাল নেহেরুর প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন। একই সঙ্গে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তিনি। দেশে কীভাবে গণতন্ত্র বজায় রাখতে হয় সে বিষয়ে সম্প্রতি বক্তব্য রাখছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর তা নিয়ে সংসদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।
আর সেখানেই নেহেরুর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী লি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক ইস্যুতে নেহেরুর কথা তুলে ধরে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে থাকেন। সেখানে দাঁড়িয়ে সিঙ্গাপুরের সংসদে নেহেরুর প্রশংসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এক বিধায়কের মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী লি বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্যে একাধিক বিষয় উঠে আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদর্শ এবং মহান মূল্যের উপর ভিত্তি করে একটা সুন্দর গঠন হয় এবং তাঁর যাত্রা শুরু হয়। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বদলাতে থাকে। তবে তা নির্ভর করে নেতা এবং অন্যান্যদের সহযোগিতায়।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পাওয়ার জন্যে লড়াইয়ে থাকা এবং বিজয়ী নেতা সবসময়ে সাহস, সংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকেন। কঠিন সময়েই ওই নেতা সহজে তা জয় করে ফেলেন এবং দেশের নেতা হয়ে ওঠেন। ডেভিড ওয়েন-গুরিয়ন, জহরলাল নেহেরু তেমনই নেতা। এমনটাই মনে করেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, তাঁরা নতুন বিশ্বকে তৈরি করতে চেয়েছেন। শুধু তাই নয়, দেশ এবং দেশের মানুষের জন্যে নয়া ভবিষ্যত গঠন করার জন্যে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। লী-য়ের দাবি, ভারত গঠন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী লোকসভার একাধিক সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যার মতো মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। এমনকি এও বলা হয় যে এর মধ্যে কয়েকজন রাজনীতি এসে নিজেদের বাঁচিয়েছেন।
সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, রাজনীতি বদল হতেই থাকে। রাজনেতাদের প্রতি সম্মান কমতে থাকে। পরিস্থতি খারাপ হতেই পারে। দেশের মানুষের নেতাদের উপর বিশ্বাস কমতেই থাকে আর দেশের ক্রমশ তলার দিকে নামতে থাকে বলে দাবি লি-য়ের। যে স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে সিঙ্গাপুর তৈরি হয়েছে তা সবাইকে মেনে চলা উচিৎ বলেও দাবি তাঁর।
শুধু তাই নয়, তা রক্ষা করে চলা উচিৎ বলেও মনে করেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, আমাদের গণতন্ত্র আরও শক্ত হতে পারে। হতে পারে গভীর। এমনকি আরও সহজ-সরল হতে পারে বলেও দাবি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর।
তবে এরজন্যে মানতে শর্ত! আর সেই শর্ত হল সঠিক নীতি এবং মানদন্ডকে মেনে চলা। আর তাহলেই সিঙ্গাপুর এবং সেখানকার মানুষ সবসময়ে ভালো থাকবে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর।