Click it and Unblock the Notifications
Just In
-
-
-
-
Don't Miss
-
অস্বস্তিকর গরম থেকে কীভাবে আপনার হার্টকে সুস্থ রাখবেন? রইল কিছু টিপস -
আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে উচ্ছ্বসিত তামান্না ও রশ্মিকা, পছন্দের ২ ক্রিকেটারেও পুরো মিল -
গ্রাহকদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ফিচার নিয়ে হাজির এয়ারটেল, কীভাবে কাজ করবে?
এলিয়েনরা কি শুনতে পাচ্ছে? মহাকাশে পৃথিবী থেকে রেডিও বার্তা পাঠিয়ে কি সাড়া পেলেন বিজ্ঞানীরা
এলিয়েনরা কি শুনছে? মহাকাশে পৃথিবী থেকে রেডিও বার্তা পাঠিয়ে কি সাড়া পেলেন বিজ্ঞানীরা
১৯৭৪ সালের নভেম্বরে মানুষ চাঁদে পা রাখার পর উন্মুক্ত মহাবিশ্বের আরও গভীরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তখন একটি রেডিও বার্তা ইচ্ছাকৃতভাবে পুয়ের্তো রিকোর শক্তিশালী আরেসিবো টেলিস্কোপ ব্যবহার করে সম্প্রচার করা হয়েছিল, যাতে জীবনের মৌলিক রসায়ন, ডিএনএর গঠন, আমাদের সৌরজগতে পৃথিবীর অবস্থান ও একজন মানুষের চিত্র সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা হয়েছিল।
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে এলিয়েনদের জন্য বার্তা
সেই বার্তা মহাকাশের বিশালতায় এখনও ঘুরছে। সেই সহজ এবং মার্জিত বার্তার প্রায় পঞ্চাশ বছর পরে, বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে আরেকটি সম্প্রচার পাঠাতে চান। আন্তঃনাক্ষত্রিক বার্তাটি গ্যালাক্সিতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই বার্তা যা মানব প্রজাতি এবং বুদ্ধিমান এলিয়েনদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৭৪ সালের সম্প্রচারের পর ফের মহাকাশে বার্তা
বিজ্ঞানীদের দলটি যোগাযোগের জন্য সহজ নীতি, মৌলিক গাণিতিক ধারণা, পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র, মানুষ, পৃথিবী এবং কেউ ফিরে যেতে চাইলে একটি ফেরত ঠিকানা সম্পর্কে তথ্য-সহ ডিএনএ-র উপাদান সম্প্রচার করতে চায়। ১৯৭৪ সালের সম্প্রচারটি কর্নেল জ্যোতির্বিদ্যার অধ্যাপক ফ্র্যাঙ্ক ড্রেক এবং পদার্থবিদ কার্ল সেগানের দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল। সর্বশেষ প্রচেষ্টাটি জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির ডক্টর জোনাথন জিয়াং দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
বার্তাগুলিকে মিল্কিওয়ের নির্বাচিত অঞ্চলে সম্প্রচারের প্রস্তাব
দলটি চিনের ফাইভ-হন্ড্রেড-মিটার অ্যাপারচার স্ফেরিক্যাল রেডিও টেলিস্কোপ এবং উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় এসইটিআই ইনস্টিটিউটের অ্যালেন টেলিস্কোপ অ্যারে ব্যবহার করে এই বার্তাগুলিকে মিল্কিওয়ের একটি নির্বাচিত অঞ্চলে সম্প্রচার করার প্রস্তাব করেছে, যা জীবনের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
পৃথিবীর প্রযুক্তিগত সভ্যতা ব্যবহার এলিয়েনদের বার্তায়
গবেষকরা মনে করছেন, "এই শক্তিশালী নতুন বীকন, আরেসিবো রেডিও টেলিস্কোপের উত্তরসূরি। যা ১৯৭৪ সালে বার্তা প্রেরণ করেছিল. যার উপর ভিত্তি করে এই সম্প্রসারিত যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। পৃথিবীর প্রযুক্তিগত সভ্যতা থেকে এই যোগাযোগের মাধ্যমে আরেসিবোর উত্তরাধিকারকে একবিংশ শতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।"
এলিয়েনদের উদ্দেশে বার্তায় কী কী থাকছে
একটি গবেষণাপত্রে এবং আর্ক্সিভ-এ প্রকাশিত হয়েছে এলিয়েনদের বার্তা পাঠানোর বিষয়টি। যা এখনো পিয়ার রিভিউ করা হয়নি বলে গবেষক দল জানিয়েছে। যে বার্তাটিতে সৌরজগত, পৃথিবীর পৃষ্ঠ এবং মানুষের রূপের ডিজিটাইজড চিত্র থাকবে, সেখানে কোনও বুদ্ধিদীপ্ত এলিয়েনদের প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য আমন্ত্রণ থাকবে।
জীবন বা প্রাণ থাকার সম্ভাবনা নাসার আবিষ্কারে
মহাকাশের ছায়াপথে বুদ্ধিমান এলিয়েনদের জীবন শনাক্ত করতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন। তবে, ফলাফল আশাব্যঞ্জক হয়নি। নাসা আমাদের নিজস্ব গ্যালাক্সিতে ৫ হাজারটিরও বেশি পৃথিবী শনাক্ত করেছে, যেখানে জীবন বা প্রাণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, বর্তমান প্রযুক্তিতে এই সমস্ত গবেষণায় এখনও চূড়ান্ত রূপ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
