অধিকাংশ মিসাইল প্রতিহত করার দাবী করছে রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা ১০০'র বেশি ক্রুজ মিসাইল ছুঁড়েছে বলে রাশিয়া দাবি করছে এবং অনেক ক্ষেপনাস্ত্র ধ্বংস করার হয়েছে বলে তারা দাবী করছে।
রাশিয়া দাবী করছে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স সিরিয়ায় যতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তার অধিকাংশই ধ্বংস করেছে সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
রাশিয়ার দাবি, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা একশোর বেশি ক্রুজ মিসাইল ছুঁড়েছে।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করেই আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স এ হামলা চালিয়েছে।
এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, " যে দেশটিকে সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে লড়াই করছে তাদের সার্বভৌমত্বের উপর এ হামলা চালানো হয়েছে।"
আমেরিকার নেতৃত্বে সিরিয়ার উপর যে বহুজাতিক হামলা হয়েছে সেটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত নয়।
মি: পুতিন মনে করেন, আমেরিকা এবং তাদের মিত্রদের হামলার মাধ্যমে সিরিয়ায় কেবল উদ্বাস্তু বাড়বে যেটি পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে।
এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আমেরিকা এবং তাদের মিত্র দেশগুলো যেসব মিসাইল ছুঁড়েছে সেগুলোর কোনটি রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষার ব্যবস্থার ভেতরে আসেনি।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেছেন, পশ্চিমাদের এ হামলার পরিণাম ভালো হবে না।
এ হামলার পাল্টা জবাব দেবার হুমকিও দিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, রাজধানী দামেস্কের পূর্বে বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
তবে বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা বলছেন রাশিয়ার দাবীর স্বপক্ষে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
যে বিমান ঘাঁটি লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছিল সেখান থেকে গত সপ্তাহে ডুমায় রাসায়নিক হামলা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তারা এ হামলাকে 'নৃশংস এবং জঘন্য' হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সাত বছর ধরে সিরিয়ায় যে গৃহযুদ্ধ চলছে, তার মধ্যে আজ সকালের হামলাগুলিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারের ওপরে পশ্চিমা দেশগুলির সবচেয়ে ব্যাপক ও গুরুত্বপূর্ণ হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।