শ্রীলঙ্কার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বিক্রমসিংঘেকেই বাছলেন প্রেসিডেন্ট
চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। একেবারে দিশেহারা সে দেশের মানুষ। এই অবস্থায় পথ দেখাবেন কে? এই নিয়ে চরম অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয় দেশে। এরই মধ্যে আবার নতুন নেতৃত্বের সম্ভাবনা তৈরি হয়। বুধবারেই সে দেশের প্রেসিডেন্ট নয়া প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের কথা জানিয়ে ছিলেন।

আর এরপর থেকেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমসিংঘের'র নামই আসতে থাকে। তিনিই নাকি ফিরতে চলেছেন রাজাপাক্ষের জায়গায়।
আর সেই জল্পনা সত্যি করে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন বিক্রমসিংঘ। কার্যত এক রাশ চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়েই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেও নয়া মন্ত্রিসভা কবে গঠন হবে সে বিষয়ে অবশ্যই স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা হয়নি।
United National Party leader Ranil Wickremesinghe sworn in as the Prime Minister of Sri Lanka. pic.twitter.com/6bCdDtAkFK
— ANI (@ANI) May 12, 2022
তবে জ্বলতে থাকা লঙ্কার দায়িত্ব নেওয়ার পরেই বিক্রমসিংঘকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতি দায়িত্ব নেওয়াতে পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে।
Congratulations to the newly appointed Prime Minister of #lka, @RW_UNP. I wish you all the best as you navigate these troubled times.
— Mahinda Rajapaksa (@PresRajapaksa) May 12, 2022
বিক্রমসিংঘ শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতা হিসাবে কাজ সামলেছেন। শুধু তাই নয়, সে দেশের অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ন্যাশানাল পার্টি'র সুপ্রিমো। বলে রাখা প্রয়োজন, শ্রীলঙ্কার চার বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিক্রমসিংঘ। কিন্তু ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিক্রমসিংঘকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দু'মাসের মধ্যে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী পদে বিক্রমসিংঘকে ফিরিয়ে এনেছিলেন সেই রাষ্ট্রপতিই।
তবে ২০২০ সালে দেশের সবথেকে পুরানো রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ন্যাশানাল পার্টি শুধুমাত্র একটি আসন জিতেছিল। কিন্তু এই অবস্থায় সেই ইউনাইটেড ন্যাশানাল পার্টি সুপ্রিমো'র উপরেই আস্থা রাখল শ্রীলঙ্কার মানুষ এবং রাষ্ট্রপতি। দায়িত্ব নিয়ে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সঙ্কট কীভাবে সামলাবেন বিক্রমসিংঘ সামলাবেন সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্র রাজাপাক্ষের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশ ছাড়ার উপরে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে তিনি এবং তাঁর কোনও মন্ত্রী পারিষদ কেউ শ্রীলঙ্কা ছেড়ে যেতে পারবেন না বসে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর এরপরেই রাজাপক্ষের ছেলে টুইট করে জানিয়েছেন, দেশের এই কঠিন পরিস্থিতি রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালাননি। তিনি এখনও শ্রীলঙ্কাতেই রয়েছে।
অন্যদিকে রাজাপাক্ষে পদত্যাগ করলেও তাঁর ভাই গোতাবায়া রাজাপাক্ষে রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন এখনও। ইস্তফা দেননি তিনি। এই অবস্থায় তাঁর উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। রাষ্ট্রপতির ইম্পিচমেন্টের দাবিও তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সে দেশে আজও দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছে। এই অবস্থায় কার্ফু জারি করা রয়েছে। এই অবস্থায় শ্রীলঙ্কার নয়া প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিংঘ দেশের মানুষের জন্যে বার্তা দেন কিনা সেদিকেই নজর সবার।